শিলিগুড়ি শহরের প্রানকেন্দ্রের এই পার্কই নতুন প্রজন্মের কাছে যেমন আড্ডার অন্যতম পীঠস্থান। তেমনি মর্নিং ওয়াকারদের কাছেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রতিদিনই সকালে এই পার্কের মাঠে ভিড় জমান প্রাত ভ্রমণকারীরা। তেমনি সন্ধ্যে হলেই জমজমাটি আড্ডা বসে পার্কের আশপাশে। এই পার্ককে ঘিরেই বসে রকমারি ফাস্টফুড স্টল। আর এই বাঘাযতীন পার্ক এখন নতুন প্রজন্মের কাছে সংক্ষেপে পরিচিত হয়ে উঠেছে 'বিজেপি' নামে!
advertisement
আরও পড়ুন-বাংলার সাত জেলায় ভারী বৃষ্টি! আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তনে দুর্ভোগের পূর্বাভাস
ছাত্র, যুবদের আড্ডা মানেই এক ডাকে বিজেপিকেই চেনে তারা। আর এই নাম নিয়েই আপত্তি তুলেছেন শিলিগুড়ির পুর প্রশাসক। আজ কলেজপাড়ায় একটি জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, এই 'বিজেপি' নামেই অ্যালার্জি আছে আমার। তবে এই বিজেপি মানে ভারতীয় জনতা পার্টি নয়। বিজেপি মানে বাঘাযতীন পার্ক। এই পার্কটিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। তাই বাঘাযতীন পার্কের নামের আগে নতুন কোনো শব্দ সংযোজনের আর্জিও জানান তিনি।
আরও পড়ুন-দূষণের জন্য দায়ী কৃষকরা! কেন্দ্রের 'অজুহাতে' চরম ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট
পালটা প্রশাসককে আক্রমণ করেছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, শহরের জলনিকাশী, যানজট সহ একাধীক সমস্যা নিয়ে যখন চুপ প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য, তখন বাঘাযতীন পার্ক নিয়ে মন্তব্য করে আসলে প্রচারে আসতে চাইছেন। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোর উন্নয়ন নিয়ে কিছু বলার নেই ওনার, তাই একথা বলছেন।আর সাধারন বাসিন্দারা সাফ জানান, এনিয়ে অযথা রাজনীতি করা হচ্ছে কেন? বাঘাযতীন পার্ক শহরের ঐতিহ্য। বড় বড় অট্টালিকার ভিড়ে একচিলতে সবুজ গালিচা। শহরের অক্সিজেন। কোনও ভাবেই যেন এর নাম পরিবর্তন করা না হয়। আর এখন তো সবেতেই শর্ট ফর্ম চলে এসছে। হোয়াটস এপ বা ম্যাসেজ করতে গেলেও শর্ট ফর্ম ব্যবহার করা হয়। এতে আপত্তি কীসের!