জন্ম উত্তরবঙ্গে নয়। অসম থেকে পাচারের সময়ে তাকে উদ্ধার করেন এ রাজ্যের বনকর্মীরা। ঠিকানা হয় গরুমারা জাতীয় উদ্যান। সময়টা ২০০২ সাল। অচেনা জায়গায় এসে নিজের দক্ষতা প্রমাণে বেশি সময় নেয়নি মেঘলাল। চালাক, ক্ষিপ্র, কঠিন পরিস্থিতি ঠান্ডা মাথায় মোকবিলার ক্ষমতা। সর্বপরি অসম্ভব বাধ্য। খুব কম সময়েই বনকর্মীদের চোখের মণি হয় ওঠে মেঘলাল।
advertisement
হাতে-নাতেই পুরস্কার। ২০০২ সালেই কুনকি হাতি হিসেবে একেবারে সরকারি চাকরি। তারপর একের পর এক সাফল্য। পথ ভুলে বাংলাদেশে চলে যাওয়া হাতিকে দেশে ফেরানো থেকে বেয়াদপ গণ্ডারকে শায়েস্তা। অথবা অসুস্থ বন্য প্রাণীর কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। সবেতেই ডাক পড়তে থাকে মেঘলালের।
তবে মাত্র পনের বছর। সরকারি নিয়মে ষাটের ঘরে পা দিতেই বন্ধ হয়ে গেল সার্ভিস বুক। অবসর নিল মেঘলাল। তবে সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা সমেত।
গরুমারার হাতি পিলখানায় এখন নিশ্চিত জীবনযাপন। খেয়েদেয়ে ঘুরে বেড়ানো চাপমুক্ত জীবনে ধীরে ধীরে অভ্যস্থ হয়ে ওঠা ।কর্ম জীবনের মত এখনও বিন্দাস সদ্য অবসরপ্রাপ্ত মেঘলাল। আর গড়পড়তা পেনশনভোগীদের মতই। ।