হরিয়ালি তিজ এবং হরতালিকা তিজ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে জমজমাটভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। রাজস্থান, বিহার, ঝাড়খণ্ডে বরাবরই উৎসবের মেজাজে মহিলারা তিজ নিয়ে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। প্রতিবেশী দেশ নেপালে অন্যতম বড় উৎসব। আমাদের রাজ্যেও এই উৎসবটি পালিত হয়ে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে। গোর্খা মহিলারাই মূলত এই উৎসব নিয়ে মাতেন। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কার্শিয়ং, মিরিক, কালিম্পংয়ে বেশ বড় করেই উৎসব হয়। সমতলের শিলিগুড়িতেও ২০০৩ সাল থেকে জমজমাট হরিতালিকা তিজ উৎসব।
advertisement
আরও পড়ুন - BJP Workshop: কৈলাশের পথেই সুনীল? রাজ্যে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সেই দল ভাঙানো রাজনীতিতেই ভরসা বিজেপির!
তিজ হল শিব ও পার্বতীর অটুট মিলনের প্রতীক। লাল রঙের শাড়ি, নিজস্ব সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে সেজে ওঠেন নেপালী মহিলারা। বিবাহিত মহিলারা মহাদেব ও পার্বতীর পুজো করে থাকেন স্বামীর দীর্ঘ জীবন এবং মঙ্গল কামনায়। তেমনি অবিবাহিত মহিলারা শিবের মতো স্বামী পেতে তিজ উৎসব করে থাকে।
আরও পড়ুন - Ganesh Chaturthi 2022: গণেশ পুজোর দিনে তিথি ও সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম, সৌভাগ্য-সমৃদ্ধি উপচে পড়ে
জানা গিয়েছে, উৎসবের এক মাস আগে থেকেই মহিলারা নিরামিষ খেয়ে থাকেন। আর উৎসবের দিন একেবারে নির্জলা থাকেন। পুজোর পর স্বামীর পায়ে জল ঢেলে উপোস কাটান। এদিন রঙিন সাজে সেজে ওঠেন মহিলারা। মঙ্গলবার ছিল হরিতালিকা তিজ উৎসব। শিলিগুড়ির দুর্গামন্দিরে ভিড় জমান নেপালী মহিলারা।
নাচে, গানে স্বামীর জন্যে শুভ কামনা করে পুজা করেন দেব, দেবীর। আর অবিবাহিতা মহিলারা "হবু বরের" প্রার্থনায় পুজা করেন। প্রতি বছরই ভাদ্র মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয় দিনে এই উৎসব হয়। দুর্গামন্দিরে তিজ উৎসব এবারে ১৯তম বর্ষে পদার্পন করলো। সকাল থেকেই ছিল সাজোসাজো রব। একে একে মহিলারা যোগ দেন। তারপর শুরু হয় উৎসব। সকলে মিলে নাচ, গানের মাধ্যমে তুলে ধরেন গোর্খা সংস্কৃতি।
Partha Sarkar