তৃতীয় ঢেউ দোরগোঁড়ায়। তাতে কী এসে যায়। মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমজমাট। অনেকেরই নাক ও মুখ ঢাকেনি মাস্কে। পারস্পরিক দূরত্ব বিধি মানা দূর অস্ত! স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে স্বাস্থ্য কর্তাদের। একদিকে দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ভিড়, অন্যদিকে টিকা নেওয়ার লাইনেও ভিড়। সেই তালিকায় সংযোজন গণেশ পুজো।
advertisement
এক স্বাস্থ্য কর্তার কথায়, সচেতনতার অভাবেই ভিড় বাড়ছে পুজো মণ্ডপে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চললে সমূহ বিপদ। কোভিড এখনও বিদায় নেয়নি। ডবল ডোজ টিকা নেওয়ার সংখ্যাটাও ভাবাচ্ছে। পুজো মণ্ডপে ঠাকুর দেখা থেকে প্রসাদ নেওয়া সর্বত্রই থিক থিক ভিড়। সব বয়সীরাই হাজির। বিধান মার্কেটের গণেশ পুজো থেকে কলেজপাড়া, হায়দরপাড়া থেকে আশ্রমপাড়ার মণ্ডপ, একই সেই ভিড়ের ছবি। যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক কর্তারা।
শিলিগুড়িতে দিন দিন বাড়ছে গণেশ পুজার সংখ্যা। আগে হাতে গোনা কয়েকটি হত। কিন্তু এখন ক্রমেই সংখ্যাটা বাড়ছে। প্রায় প্রতিটি পাড়াতেই আয়োজন করা হচ্ছে গণপতির পুজা। কার্যত এর মধ্য দিয়েই উৎসব মরসুমের ঢাকে কাঠি পড়ে যায়। শহরজুড়েই উৎসবের মেজাজ। সন্ধ্যে নামতেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড়। সেল্ফি, গ্রুফি তোলার হিড়িক। মাস্ক ছাড়াই চলছে ফটো সেশন। আজ গণেশ পঞ্চমী। শুরুতেই যে কোভিড আবহে অচেনা ভিড়ের ছবি, তা চিন্তা বাড়াচ্ছে বই কমাচ্ছে না। খোলামেলা মণ্ডপ হলেও শহরবাসীর একটা অংশ নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই ভিড় জমাচ্ছে। এক পুজা উদ্যোক্তার কথায়, স্বাস্থ্য বিধি মেনেই পুজার আয়োজন করা হয়েছে। ভিড় এড়ানোর বার্তাও দেওয়া হচ্ছে।