প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবশ্য বলছেন, ‘রাজ্য সরকারের তরফে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আমাকে ২৩ জানুয়ারি হাসিমারার সরকারি অনুষ্ঠানে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যার জন্য দিল্লি থেকে ফিরে এসেছি। সেই অনুষ্ঠানে আমি যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমি অনড়।’ আর এর পরেই জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে, শাসক দলে যোগ দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের আজীবন কারাবাস, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলা উঠতেই যা বললেন প্রধান বিচারপতি! নজরে ‘২৯’
advertisement
বিজেপি নেতৃত্বকে তীব্র আক্রমণ করে জন বার্লা বলেন, ‘ডুয়ার্সের চা বাগানগুলিতে একসময় বিজেপির ঝান্ডা লাগানোর লোক ছিল না। আমি বিজেপিকে রাজনৈতিক জমি তৈরি করে দিয়েছিলাম, বিজেপিকে ডুয়ার্সের চা বলয় সম্মান দিয়েছে। চা বাগানের শ্রমিকরা ভরসা করেছিল বিজেপির উপরে।বিজেপিতে যোগদান না করেও ২০১৪ সালে বিজেপিকে ভোটে জিতিয়েছিলাম। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কোনওভাবেই বন্ধ বাগান খোলার বিষয় নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি আজকে পর্যন্ত। আজ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য কোনও প্যাকেজ ঘোষণা করেনি, বাগান কর্তৃপক্ষের জন্য কোনও প্যাকেজ ঘোষণা করেনি।’
বৃহস্পতিবার হাসিমারায় সুভাষিণী চা বাগানের মাঠে নেতাজি জন্মজয়ন্তী পালন করা হবে। চা বলয়ে এই প্রথম নেতাজি জন্ম জয়ন্তী রাজ্যের তরফে পালন করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই সকলের নজর সেদিকে। কারণ চা বাগানকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আবার জন নিজেও চা বলয়ের নেতা। বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী সেই মঞ্চে হাজির থাকবে বলায় রাজনৈতিক জল্পনা তীব্র হয়েছে।