তৃণভোজী বন্যপ্রাণীদের অতিপ্রিয় বারোটি প্রজাতির ঘাসের চারা যা বর্ষার মধ্যে প্রতিস্থাপন করা হবে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে সেই কাজই বর্তমানে চলছে জোর কদমে। এই বিশেষ প্রজাতির ঘাসগুলির মধ্যে রয়েছে চেপটি, মধুয়া, মালশা ও ভুট্টা ঘাসের মত ঘাসগুলি। বন বিভাগের পক্ষ থেকে সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বুনো হাতিরা চেপটি ঘাস খেতে পছন্দ করে। অন্যদিকে একশৃঙ্গ গন্ডারদের প্রিয় ঘাস মধুয়া। এছাড়া বাইসন ও অন্যান্য তৃণভোজী প্রাণীরা সব ধরনের ঘাস খেয়ে থাকে।
advertisement
এই মুহূর্তে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে একশৃঙ্গ গন্ডারদের সংখ্যা ৩৩০ পার করেছে। দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গন্ডার সংরক্ষণের জন্য জলদাপাড়া। প্রায় তিন হাজার বাইসন রয়েছে এখানে। বুনো হাতি সংখ্যা গুনে শেষ করা যায় না। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে স্বাভাবিকভাবেই বন্যপ্রাণীদের চাপ লেগেই থাকে। সেই কারণেই এবার গ্র্যাসল্যান্ড তৈরির উদ্যোগ।
জলদাপাড়া বন বিভাগের এডিএফও নভোজিত দে জানান,”জলদাপাড়া তৃণভোজী বন্যপ্রাণীদের খাবারের ভান্ডার সুনিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ। এর ফলে জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় থাকবে।” জানা গিয়েছে এই ঘাস বর্ষার মধ্যে জলদাপাড়া বনবিভাগের অন্তর্গত চিলাপাতা কোদাল বস্তি নীল পাড়া সহ বিভিন্ন রেঞ্জে দিয়ে আসা হবে।
Annanya Dey