এই ইকোপার্ক গুলি একদম প্রকৃতির মাঝে হওয়ায় পর্যটকেরা এই জায়গা গুলি খুব পছন্দ করছে। ফলে নিত্যদিন প্রচুর পর্যটকের ভিড় জমছে এই জায়গা গুলিতে। কার্শিয়াং ফরেস্ট ডিভিশন এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় এই ইকোপার্ক তৈরি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ডাউহিল পাইন ফরেস্ট অন্যতম। বন দফতরের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে নতুন রূপ পেয়েছে চারিদিকে পাহাড়ে ঘেরা নিরিবিলি অপরূপ সুন্দর এই ডাউহিল পাইন ফরেস্ট।
advertisement
মাথার উপরে আকাশ ছোঁয়া, পাইনবন তার মাঝে পাহাড়ি রাস্তা, সূর্যের আলো যেতেই গা ছমছম করে, বর্তমানে সেই জায়গায় রয়েছে ছোট ছোট বসার জায়গা তৈরি হয়েছে আই লাভ পাইন ট্রি সেলফি জোন, এখানেই শেষ নয়, পাইন গাছেই তৈরি করা হয়েছে নানান কারুকার্য সঙ্গে জঙ্গলের মাঝে তৈরি হয়েছে কাঠের ব্রিজ সবমিলিয়ে চুম্বকের মতো পর্যটকদের টানছে এই ডাউহিল ইকোপার্ক। এই প্রসঙ্গে গ্রামের এক মহিলা সুমন বিশ্বকর্মা বলেন বন দফতরের তৈরি এই ইকোপার্কে ইতিমধ্যেই সাবলম্বী হয়েছে এই গ্রামের বহু মহিলা। এই জায়গাটি সৌন্দর্যায়নের ফলে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে ফলে আয়ও ভালো হচ্ছে।বন বিভাগের পক্ষ থেকে ইকো ট্যুরিজম পার্কের পাশাপাশি খোলা হয়েছে ক্যান্টিন এবং এই ক্যান্টিনগুলি পুরোপুরি এলাকার বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এতে আমরা বেজায় খুশি।
অন্যদিকেই প্রসঙ্গে কার্শিয়াং ডাউহিল বিটের রেঞ্জার সম্বর্ত সাধু জানান এর আগে এই জায়গায় বহু অসামাজিক কার্যকলাপ চলতো পর্যটকদের যাতায়াত তেমন ছিল না। বর্তমানে কার্শিয়াং বন বিভাগের উদ্যোগে এই জায়গাটি নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ফলে দূর দূরান্ত থেকে এই ডাওহিল পাইন ফরেস্টে ছুটে আসছে পর্যটকেরা এবং স্থানীয়দের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে ক্যান্টিনের দায়িত্ব সেই অর্থে স্বাবলম্বী হয়েছে এই এলাকার বহু মানুষ, এবং এই ইকোপার্ক থেকে আয় করে গ্রামের বহু পুরনো ভেঙে যাওয়া শিব মন্দির তারা নতুন করে সংস্কারও করতে চলেছে।
তাহলে আর দেরি কিসের চারিদিকে সবুজে ঘেরা পাহাড় এবং মাথার উপর আকাশ ছোঁয়া পাইন বন তার মাঝেই পাহাড়ি পথে চুটিয়ে অ্যাডভেঞ্চার সঙ্গে সেলফি থেকে ফটোশুট থাকবে লোকাল মোমো থেকে দার্জিলিং চা। ছুটির দিনে ঘুরে আসুন ডাউহিল পাইন ন্ট্রি ইকো ট্যুরিজম স্পট থেকে মন ভালো হয়ে যাবে।
Sujoy Ghosh