পাতা তোলার প্রথম দিনেই পাহাড়ের সমস্ত চা বাগানে একদিনের জন্য ধর্মঘট ও আন্দোলনের ডাক দিল হিল জয়েন্ট ফোরাম। সাধারণত ফেব্রুয়ারির শেষ অথবা মার্চের শুরু থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ফার্স্ট ফ্ল্যাশের পাতা তোলা হয়। এই ফার্স্ট ফ্ল্যাশের চা তার নিজস্বতা এবং গুণগত মানের জন্য দেশ-বিদেশে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছে। তবে এই খুশির হাওয়ার মাঝেও যেন বাধা জয়েন্ট ফোরামের ডাকা আন্দোলন ও ধর্মঘট। চা বাগানের শ্রমিকদের বোনাস, নূন্যতম মজুরি, পাট্টার দাবি ও চা বাগানের ৩০ শতাংশ জমি অন্য শিল্পে ব্যবহারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওই আন্দোলণের ডাক দিয়েছে জয়েন্ট ফোরাম। ২৭ ফেব্রুয়ারি একদিকের ধর্মঘটের পাশাপাশি প্রত্যেক চা বাগানে আন্দোলন সংগঠিত হবে ফোরামের তরফে। স্মারকপত্র তুলে দেওয়া হবে প্রশাসনের আধিকারিকদের হাতে। এরপর আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেইসব দাবিপূরণ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ফোরাম। যদি ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের দাবিপূরণ না হয় তবে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: ছমছমে পরিবেশে বুনো হাতির ভয়! তার মাঝেই জংলি বাবার মন্দিরে শিবরাত্রির আয়োজন
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আর জয়েন্ট ফোরামের এই সিদ্ধান্তেই বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছে চা শিল্পমহল।এই বিষয়ে হিল জয়েন্ট ফোরামের মুখপাত্র সুনীল রাই বলেন, “২৭ ফেব্রুয়ারি আমরা কোন কাজ করব না। পাহাড়ের সমস্ত চা বাগানে ফার্স্ট ফ্ল্যাশের চা পাতা তুলবে না শ্রমিকরা। সেদিনের পর আমরা রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের পাট্টা, বোনাস, ন্যুনতম মজুরির দাবি সহ রাজ্য যে ৩০ শতাংশ চা বাগানের জমি অন্য ক্ষেত্রে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা প্রত্যাহারের দাবি জানাব। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আমাদের দাবিপূরণ না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।”
বর্তমানে পাহাড়ের ৮৭ টি চা বাগান রয়েছে। এই দার্জিলিং চা তার নিজস্ব গুণ এবং স্বাদের জন্য সারা বিশ্বের শ্যাম্পেন অফ টি বলে পরিচিত।
সুজয় ঘোষ