বুধবার সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে ও ফিতে কেটে গ্রামের পুজোর উদ্বোধন করেন কৃষকেরা। এরপর একে একে কৃষকদের মঞ্চে ডেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরনে লুঙ্গি, কাঁধে গামছা, নিতান্তই সাদামাটা পোশাক। এমন উদ্বোধকদের দেখতেই ভিড় জমান কৌতুহলী মানুষজন।মালদহে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম চরিঅনন্তপুর। জাল নোটের কারবারের জন্য বারবারই উঠে আসে এই গ্রামের নাম। গ্রাম মূলত কৃষি নির্ভর। এই গ্রামে বড় উৎসব বলতে জগদ্ধাত্রী পুজো। এমন গ্রামের প্রান্তিক কৃষক হয়েও পুজোর উদ্বোধন এর জন্য ডাক। প্রথমে এমন আমন্ত্রণ পেয়ে খানিকটা অবাকই হয়ে যান তাঁরা। শেষে ভয় ও জড়তা কাটিয়ে এগিয়ে আসতে তাঁদের সাহস যোগান উদ্যোক্তারা।কিন্তু,পুজোর উদ্বোধনে সাধারণ কৃষকদের এভাবে উদ্বোধক এর মর্যাদা দেওয়ার পরিকল্পনা কেন?
advertisement
আরও পড়ুন: একা শ্রাবন্তী নন, একে-একে BJP ছেড়েছেন একাধিক তারকা! দেখে নিন তাঁদের...
আরও পড়ুন: শ্রাবন্তীর BJP-ত্যাগ, সুকান্তর ব্যাখ্যার তীব্র বিরোধিতায় নুসরত জাহান! যা বললেন...
নিজেদের ঘাম ঝরিয়ে বছরভর সাধারণ মানুষের মুখের খাবার জোগানোর দায়িত্ব নেওয়া প্রান্তিক কৃষকদের "সম্মান" জানাতেই এমন পরিকল্পনা বলে জানিয়েছে পুজো কমিটি। পুজো সম্পাদক পঙ্কজ দ্বিবেদী বলেন, দোকান, বাজার, বাস ধর্মঘট হলে অনেক সময় হইচই হয়। অথচ, এই কৃষকরা যদি একদিন ধর্মঘট করে দেন তাহলে খাদ্যের যোগান বিপন্ন হবে। কিন্তু, তাঁরা বছরভর পরিশ্রম করে মানুষের আহার নিশ্চিত করেন। তাঁদের নিরলস পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানাতেই উদ্বোধকের সম্মান দেওয়া হয়েছে।পুজোর উদ্বোধন করে বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, এভাবে আমন্ত্রণ পাবো ভাবিনি। প্রথমে মনের ভিতর নানা দ্বন্দ্ব ও জড়তা তৈরি হচ্ছিল। পরে উদ্যোক্তারা সেসব দূর করে দেন। এমন সম্মান পেয়ে সকলেই অভিভূত। এমন "সম্মান" দায়িত্ববোধ আর কর্মনিষ্ঠা বাড়াবে বলেই বিশ্বাস তাঁদের।