এই দল মূলত বেস-ক্যাম্প থেকে ক্যাম্প ২ পর্যন্ত রোপ ফিক্সিং ও খুম্বু আইসফল এলাকায় অনেক বড় বড় ক্রিভার্স বা বরফ ফাটল থেকে, সেই এলাকায় মই লাগিয়ে পর্বতারোহীদের পথ মসৃন করবেন আইসফল ডাক্তাররা। মূলত ক্যাম্প ২ পর্যন্ত রোপ ফিক্সিং করা হয়, এরপর থেকে ক্যাম্প ২ থেকে সামিট বিট পর্যন্ত রোপ ফিক্সিং করতে মূলত অভিজ্ঞ শেরপারাই করে থাকেন। রুট তৈরীর সাথে সাথে এভারেস্ট ব্যাসক্যাম্প থেকে ক্যাম্প ২ পর্যন্ত পরে থাকা মৃতদেহ ও আবর্জনা সরানোর কাজ করবে এই দলটি।
advertisement
প্রতিবছরই ব্যাসিক্যাম্প থেকে ক্যাম্প ২ পর্যন্ত রুট বদল হয়, কারণ খুম্বু আইসফল এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই অ্যাভাল্যান্স হয় তাই এই রাস্তা চরিত্র বাদল হয়। সাগরমাথা দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটির কর্মকর্তা নিশান শ্রেষ্ঠা জানান, নেপাল সরকার ও পর্বতারোহন সংস্থাগুলি যৌথ ভাবে এই আইসফল ডক্টরদের নিযুক্ত করে রুট তৈরী করার জন্য। এই অভিজ্ঞ দলটি অনেক বেশি সক্ষম এই রাস্তা তৈরিতে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই দলটি রাস্তার ম্যাপ ও দূরত্ব মেপে বিপজ্জনক এলাকায়ও শনাক্ত করে ফেলবেন।
পর্বত আরোহনের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৩০টিরও বেশী দল তাঁদের অভিযান বুকিং করে দিয়েছে। তাঁদের দাবি, যেহেতু তিব্বতের দিক থেকে অর্থাৎ এভারেস্ট নর্থকল দিয়ে কোনও অভিযান হচ্ছে না সেক্ষত্রে আরও বেশ কিছু দল নেপাল অর্থাৎ সাউথকল রুটে অভিযান করবে। ফলে অনেক বেশী অভিযাত্রী মাত্র ৩-৪ দিনের সামিট উইন্ডো পাবে এবং সবাই চেষ্টা করবে এই দিনের মধ্যেই সামিট পুশ করার জন্য যার জেরে এবারও এভারেস্টে ট্রাফিক জ্যামের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ট্রাফিক জ্যাম বেশী হলে অভিযাত্রীরা বিপদের সম্মুখীন হবে এমনকি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। সেটা যতটা কম হয় সেইদিকেই এবার বেশি নজর দিতে হবে। করোনা সমস্যাকে দূরে সরিয়ে শেরপারাও তাদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
Debasish Chakraborty