শাবক-সহ হাতিমৃত্যুর এই মর্মান্তিক ঘটনায় ফের সোচ্চার পরিবেশবিদরা। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন আইডিএস (IDS-Intrusion Detection System)-এর রূপায়ণ নিয়ে। প্রসঙ্গত বহু আলোচনা এবং টানাপড়েনের পরও এখনও আলিপুরদুয়ার ডিভিশনে এখনও চালু হল না আইডিএস। টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ চলছে এখনও। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের সদর দফতরের দিকে চেয়ে রয়েছেন রেল-বন আধিকারিকরা। আইডিএস থাকলে হাতি লাইনের কাছে এসে পড়লেই তড়িঘড়ি খবর চলে যাবে নিকটবর্তী স্টেশনে। সেখান থেকে খবর চলে যাবে লোকো পাইলট ও গার্ডের কাছে।
advertisement
আরও পড়ুন : দেখতে যেন লবঙ্গ বা শিশুদের খেলার ঝুনঝুনি! এই ফুলেই কমবে ওজন ও ব্লাড সুগার
১৯৭৪ সালে তৈরি ডুয়ার্সের জঙ্গল রুটে ট্রেনের গতিবেগ কত হবে, তা নিয়ে আলোচনা আগেও বহু বার হয়েছে। কারণ, জঙ্গল চিরে তৈরি করা এই রেলপথের ৭৪ কিলোমিটার এলাকাই জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য এবং বাঘ-প্রকল্পের এলাকার ভিতরে। ওই রুটের কয়েক কিলোমিটার ব্যবধানেই রয়েছে হাতিদের চলাচলের রাস্তা, যা ‘এলিফ্যান্ট করিডোর’ নামে পরিচিত। যার জেরেই গতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও বাড়তি গুরুত্ব পায়।
পরিবেশপ্রেমীদের অনেকের দাবি, ওই রুটে রেলের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটারের বেশি হওয়া কোনও ভাবেই কাম্য নয়। বিশেষ পরিস্থিতি ও সময়ে কোনও বাফার জোনে তা আরও নিয়ন্ত্রণ করার কথা। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল হাতি লাইনের কাছে আসতে পারে ভোর ৫ নাগাদ। কিন্তু তার পরও দুর্ঘটনা ঘটে সকাল ৭.২০ মিনিটে। সে সময় ট্রেনের গতিবেগ ট্রেনের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার।