জলপাইগুড়ি জেলার বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের মহারাজঘাট এলাকার ঘটনা।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে রাজগঞ্জ ব্লকের মহারাজঘাট এলাকার একটি লাউ ক্ষেতে হাতির মৃতদেহ পরে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর খবর দেওয়া হয় পাশ্ববর্তী বেলাকোবা রেঞ্জ অফিসে।
আরও পড়ুন- একের পর এক হাঁস-মুরগি উধাও! তাকে ধরতে সন্ত্রস্ত্র গ্রামে খাঁচা বসাল বন দফতর
advertisement
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে টিম নিয়ে ছুটে যান রেঞ্জ অফিসার। ঘটনাস্থলে আসেন বনাধিকারিক মঞ্জুলা তিরকে। এদিকে হাতিটির মৃতদেহের পাশে রাসায়নিক সার বোঝাই দুটি ব্যাগ দেখতে পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি খাবারের খোঁজে এসে রাসায়নিক সার খেয়েই মৃত্যু হয়েছে হাতিটির?
স্থানীয় বাসিন্দাদেরও একই অনুমান। স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম রায় বলেন, "হাতি মৃত্যুর খবর শুনেই সকাল সাড়ে নটা নাগাদ এখানে আসি। দেখি একটি দাঁতাল হাতি জমিতে পড়ে রয়েছে। আর মৃতদেহের পাশে পড়ে আছে ব্যাগ বোঝাই রাসায়নিক সার। আমাদের ধারনা এই রাসায়নিক সার খেয়েই হয়তো হাতিটি মারা গেছে। তবে অন্য কারণেও হাতিটির মৃত্যু হতে পারে।"
তিনি আরো বলেন, এর আগেও এই এলাকায় বিদ্যুৎ পিষ্ট হয়ে হাতি মারা গিয়েছে। সেই সময় কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছিল বনদপ্তর। এদিকে এডিএফও মঞ্জুলা তিরকে জানান, "খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। দেখলাম এটি একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ দাঁতাল হাতি মারা গিয়েছে। তবে কি কারণে মারা গিয়েছে ময়নাতদন্ত হলেই বোঝা যাবে।"
আরও পড়ুন- বিষ খেলেন তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী, মারাত্মক অভিযোগ করলেন স্ত্রী
এভাবে বারবার হাতি মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা। পরিবেশ প্রেমীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই ডুয়ার্সে এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি খেতে হাতির মৃত্যু ঘটছে। কখনো অবৈধভাবে লাগানো ইলেকট্রিক তারে, আবার কখনো বা বিষক্রিয়ায়।
বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে বনদপ্তর এবং পরিবেশ কর্মীরা বিভিন্ন রকমের প্রচার চালিয়ে যান গ্রামগঞ্জে। যাতে এসব দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে যায় বন্যপ্রাণীরা। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, এই প্রচার করেও কিছু কিছু জায়গায় লাভ হয়নি।