নির্বাচন চলাকালীন এই ধরণের কোন ঘোষণা করা যায় না। তবে নির্বাচন কমিশন শর্ত দিয়েছে, কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়, ক্ষতিপূরণ তুলে দেবে প্রশাসন। এখানে কোন রাজনৈতিক দলকে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না। এমনকি প্রচারেও তার কোনওরকম উল্লেখ করা যাবে না। সেই কারণে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে আহতদের ২ লক্ষ টাকা করে এবং নিহতদের ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে জানা গিয়েছে, প্রশাসনিক বিধি মেনে এই ক্ষতিপূরণ মৃত ও আহতদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবেন কোচবিহারের জেলাশাসক।
advertisement
প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচির অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর রবিবার সেখানে রওনা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়ে দেয়, আগামী ৭২ ঘণ্টা কোচবিহারে কোনও রাজনৈতিক নেতা যেতে পারবেন না। সেই সঙ্গে পঞ্চম দফা ভোটের আগেও নয়া বিধি লাগু করল কমিশন। এবার ভোটের ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন আগে প্রচার বন্ধ রাখতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। হিংসাবিহীন ভোট করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
এদিন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৯ বিধানসভা কেন্দ্রে কোনও নেতা ঢুকতে পারবেন না। এই প্রেক্ষিতে পঞ্চম দফা ভোট বিধিতেও এল বদল। বলা হয়েছে কোনও রাজনৈতিক দল বা দলের প্রতিনিধি পঞ্চম দফা ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে কোনও নির্বাচনী প্রচার করতে পারবে না। এই নিষেধাজ্ঞার পর শিলিগুড়ির এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, "প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে খরচের পর যে অতিরিক্ত অর্থ থাকবে, তা দিয়েই সাহায্য করা হবে শীতলকুচির পরিবারদের। আশা করি এতে কোনভাবেই নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘিত হবে না!"