বর্ষার তিন মাস জঙ্গল বন্ধ থাকায় রুটের বিভিন্ন স্থানে ভরে গিয়েছে আগাছা। ফলে সংকীর্ণ হয়েছে রাস্তা, এছাড়া তা পরিষ্কার না হলে বন্যপ্রাণীর সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করছেন তারা। পাশাপাশি, বৃষ্টিতে সাফারির রাস্তাও বেহাল অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের। সেই রাস্তাও মেরামত হয়নি। পাশাপাশি, সাফারি রুটের বিভিন্ন স্থানে পরে রয়েছে গাছ,সেটাও সরানো হয়নি বলে দাবি তাদের।
advertisement
আরও পড়ুন: জলদাপাড়ার ‘সুপারহিরো’ DFO, এবার সুপার ডুপার হিট দেশেও! ‘এই’ কারণে পেলেন ‘ইকো-ওয়ারিয়র’ পুরস্কার
আলিপুরদুয়ারের এই জলদাপাড়া জঙ্গল ঘেরা কোদালবস্তি এলাকায় পাঁচটি জঙ্গল সাফারির রুট রয়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের কথায়, অন্যান্যবার জঙ্গল খোলার দু’সপ্তাহ আগের থেকেই যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির তরফে বিভিন্ন সাফারির রুট পরিষ্কার করা হয়। তবে বর্তমানে যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির তহবিলে কোনও টাকা না থাকায় এবার আর সে কাজ করা যায়নি। এর ফলে জঙ্গল সাফারিতে চরম সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আশংকা পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গত জানুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই বর্তমানে ডুয়ার্সজুড়ে কোনও জঙ্গলেই পর্যটকদের দিতে হচ্ছে না প্রবেশমূল্য। পূর্বে এই প্রবেশমূল্য থেকে আয় হওয়া ৪০ শতাংশ টাকা বন দফতরের তরফে যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির তহবিলে দেওয়া হত বলে জানান কোদালবস্তি যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির সহ সভাপতি গোভেন রাভা। যেখান থেকে তারা বনবস্তিতে বিভিন্ন কাজ, জঙ্গল খোলার আগে সাফারির রুট পরিষ্কার সহ একাধিক কাজ করতেন। তবে বর্তমানে সেই প্রবেশমূল্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন দফতর থেকে কোনও প্রকার আর্থিক সাহায্য আর মিলছে না বলে দাবি কোদালবস্তির যৌথ বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যদের। এই পরিস্থিতিতে জঙ্গল খোলার পর স্বাভাবিক ছন্দে সাফারির চলবে কী না তা নিয়েই উদ্বিগ্ন সকলে।