তবে বিষয়টি এখন সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। নদীবক্ষে যেসব এলাকা ভরাট করেছিল জমি মাফিয়ারা, সেগুলি খনন করে নদীকে পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বিডিও, থানার আইসি এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে জেসিবি দিয়ে নদী খনন শুরু হয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে।
আরও পড়ুন, বঙ্গোপসাগরের ওপর গতি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, কলকাতায় ঝপঝপ করে নামবে তাপমাত্রা
advertisement
দেরিতে হলেও প্রশাসন নদীকে ফের দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের সুলতাননগর পঞ্চায়েতের খন্তা মৌজার অন্তর্গত এলাকায় রয়েছে কালকোষ নদী। হরিশ্চন্দ্রপুর এবং কুমেদপুর রেল স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় রাঘবপুর ১৪ নম্বর রেল সেতুর নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এই নদী। বিহার থেকে বয়ে আসা এই নদী হরিশ্চন্দ্রপুরের মালিওর, সাদলিচক, ইসলামপুরের মতো পঞ্চায়েত এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মিশে গিয়েছে ফুলহার নদীতে।
আরও পড়ুন, শুধু মেসি-দি মারিয়া নন, আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ দিতে পারে এই ৫ তারকা
শীতকালে নদীতে জল প্রায় না থাকার সুযোগে তুলনামূলকভাবে উঁচু জায়গাগুলিতে মাটি ভরাট করে প্লট তৈরি করেছিল জমি মাফিয়ারা। প্রশাসন জানিয়েছে, যে জায়গাগুলো ভরাট করা হয়েছিল জেসিবি দিয়ে সেখানে খননকার্য চালানো হচ্ছে। যাতে নদী আবার আগের অবস্থাতে ফিরে আসতে পারে। ভবিষ্যতে অবৈধভাবে নদী ভরাট বা দখলের চেষ্টা করা হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রশাসন।