আরও পড়ুন: গোয়া জিততে কৌশল কী, সফরের শেষদিনে এক বক্তব্যেই বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তবে, দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ বলেন, ''অনেক বুথেই দেখা যাচ্ছে বিজেপি-র পোলিং এজেন্ট নেই। একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট রয়েছে। এখানে তো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাড়ি। উনাকে জিজ্ঞাসা করুন, কেন উনি এজেন্ট দিতে পারছেন না। ভোটাররা কিন্তু নিজেদের ভোট দিয়ে যাচ্ছে। আমি তো শুনেছি উনি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরে বেড়ান। উনি নিজের বুথেও এজেন্ট দিতে পারেননি। এই দায় কার, সেটা উনি বলতে পারবেন।'' পাল্টা অবশ্য উদয়ন গুহ রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: হাতে সময় নেই, 'ঘর' ভাঙছে তৃণমূল! ঘুরে দাঁড়াতেই আজ সৈকত শহরে রাহুল গান্ধি?
এদিকে, দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের বামনহাটের অন্তর্গত ৯০ নম্বর বুথের প্রিসাইডিং অফিসার ধর্মরাজ কাহালী ভোট পর্ব চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তৎক্ষণাৎ তাঁকে বামনহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর বুকে ব্যথা করছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। তাঁর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও আছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর। অতিরিক্ত জেলা শাসক জানিয়েছেন, বর্তমানে অসুস্থ ধর্মরাজ বাবু অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাঁর স্বাস্থ্যের প্রতি প্রশাসন নজর রাখছে। আরও ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন হলে অবশ্যই তা করা হবে।
প্রসঙ্গত, দিনহাটার (By Election Dinhata) মত কোচবিহারেও তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছিল। তার কারণ প্রত্যাশিত ভাবেই বিজেপি-কে অক্সিজেন দিয়েছে উত্তরবঙ্গ। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর ক্রমেই দল ভাঙছে বিজেপি-র। বহু ছোট-বড়-মাঝারি বিজেপি নেতাই তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। আর তাতেই পদ্মের অস্তিত্ব হারানোর আশঙ্কা করছেন বহু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এর মধ্যে বহু বুথে এজেন্টই দিতে পারেনি বিজেপি। তবে, গেরুয়া শিবিরের একাংশের মত, দিনহাটায় ফল ভালোও হতে পারে। কারণ ভোটের পরেও উত্তরবঙ্গ থেকে নজর সরাননি বিজেপি নেতারা। দলের নতুন রাজ্য সভাপতিও বেছে নেওয়া হয়েছে উত্তর থেকেই। ফল কী হবে তা বুঝতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক দিন।