আর দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারের এই পদক্ষেপের পরই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। উপনির্বাচনের কারণে দিনহাটায় লাগু রয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। এর মধ্যে কোচবিহারের কাঁকড়িবাড়িতে বিএসএফ ক্যাম্পে দিলীপ, সুকান্তদের বৈঠক করতে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট অভিসন্ধি নিয়েই বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়েছেন বিজেপি নেতারা। যা ভোটের আগে এলাকার জন্য চিন্তার। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: বাবুলের হাত ধরে প্রচারের 'শুভারম্ভ' তৃণমূলের, দিলীপ মনে করালেন টালিগঞ্জের কথা
বিএসএফ-এর ডিআইজি-র সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ''আমি যেখানেই যাই, বিএসএফ-এর অফিসারদের সঙ্গে দেখা করি। এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা, যাবতীয় সবকিছু নিয়েই আলোচনা করি। দিল্লিতেও গিয়ে দেখা করেছি।'' একই মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তিনিও বলেন, ''উনি (দিলীপ ঘোষ) এমনটা করেই থাকেন। লোকসভার নির্দিষ্ট কমিটির সদস্য থাকার জন্যই উনি বিভিন্ন এলাকার বিএসএফ অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেন।'' যদিও তৃণমূল বিষয়টিকে এত সহজে ছেড়ে দেবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: 'BJP-র পক্ষে এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে?' ফের বিস্ফোরক তথাগত রায়! নিশানায় কে?
এর আগে বিএসএফের কর্মক্ষেত্রের পরিধি বাড়ানো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, "উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কিছুই মানেন না। সংবিধান মানেন না, কোর্ট-কাছারি কিছুই মানেন না। যেদিন ওনার ভাইদের BSF জেলে ঢুকিয়ে দেবে, সেদিন উনি বুঝতে পারবেন। সব থেকে উত্তেজনাপ্রবণ হল বাংলাদেশ-বাংলা সীমান্ত। দিদিমণি হাজার কিলোমিটার কাঁটাতার দিতে দিচ্ছেন না, তাতে ভাইদের ব্যবসা নষ্ট হয়ে যাবে। নেতা পুলিশ সকলে অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।"