দুপুর দেড়টা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে হাজির দিদিমণির টোটো। সঙ্গে-সঙ্গে লম্বা লাইন। হাতে, হাতে সাদা থার্মোকলের প্লেটে কোনওদিন ফ্রায়েড রাইস, চিকেন। কোনওদিন ডিম-ভাত। কোনওদিন সয়াবিন, সবজি-ভাত। সঙ্গে জলের বোতল। রীতিমতো ডেকেডেকে খাওয়ান দিদিমণি। সুনন্দা সরকার। শিলিগুড়ির হায়দরপাড়া জিএসএফপি স্কুলের শিক্ষিকা। তাঁর উদ্যোগে, দুপুরে পেট ভরে খাচ্ছেন রোগীর আত্মীয়, অ্যাম্বুল্যান্স চালক, স্বাস্থ্যকর্মীরা।
advertisement
শুরুটা হয়েছিল ১৪ মে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় যেদিন থেকে রাজ্যে শুরু হয় কড়া বিধি নিষেধ। নিজের প্রয়াত ঠাকুমার নামে তৈরি আশালতা ফাউন্ডেশনের ব্যানারে শুরু হয় খাবার-বিলি।আশালতা ফাউন্ডেশনের কর্মীরাই রান্না করেন। টোটোয় করে সেই রান্না করা খাবার পৌঁছে যায় হাসপাতাল চত্বরে। আশপাশের সব হোটেল, রেস্তরাঁ বন্ধ। দিদিমণির অপেক্ষাতেই থাকেন রোগীর আত্মীয়রা। দফায় দফায় বিধি নিষেধের সময়সীমা বাড়ছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিদিমণির ক্যান্টিনও চলছে।
রিপোর্টার- পার্থ প্রতিম সরকার