মঙ্গলবার অন্যান্য স্কুল কিংবা কলেজে যখন ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত, তখন ধূপগুড়ি গার্লস কলেজ চত্বরে পড়ে থাকতে দেখা গেল স্বাস্থ্যকর্মীদের পোশাক, পিপিই কিট, গ্লাভস-সহ অন্যান্য সামগ্রী। ঘরের ভিতর বেঞ্চ, চেয়ার , টেবিল ভাঙা অবস্থায় যত্রতত্র পরে রয়েছে। এমনকি কলেজের গেট থেকে কলেজ চত্বরের রাস্তাটির দু’পাশে ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। তাতেই আশ্রয় নিয়েছে বিষধর সাপ।
advertisement
আরও পড়ুন : পাহাড়িয়া খাবার থেকে হস্তশিল্প, পর্যটকদের মন ভরাতে তৈরি রঙিন ঘুম
বেশ কিছুদিন আগেই স্কুল ও কলেজ খোলার ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল এবং অন্যান্য স্কুল কলেজগুলি স্যানিটাইজেশন করে মঙ্গলবার পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। তখন ধূপগুড়ি গার্লস কলেজ খুললেও শুরু করা গেল না কলেজের পঠনপাঠন৷ কারণ গোটা কলেজে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এমনকি বেশ কিছু ছাত্রীরা এদিন কলেজের গেট থেকে ঘুরে যায় বলেও দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, স্বাস্থ্য দফতরকে বার বার কলেজের চাবি হস্তান্তরের কথা বলা হলেও স্বাস্থ্য দপ্তর কলেজের চাবি হস্তান্তর করেনি যার ফলে এদিন খোলা গেল না কলেজ । বার বার জানানোর পর সোমবার কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কলেজের চাবি ফেরত আসে৷ ফলে এই অল্প সময়ে কলেজ চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্যানিটাইজ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন : সংবর্ধনা ও হুডখোলা গাড়িতে শহরে শোভাযাত্রা, ফিরলেন পদ্মশ্রী কমলি সোরেন
কলেজকর্মী রাজু দত্ত ও প্রণব রায় জানান, ‘‘ কলেজ জঙ্গলে ভরে রয়েছে । স্বাস্থ্য দফতর শুধু কলেজটাই ব্যবহার করেছে। সংলগ্ন এলাকাও যে পরিষ্কার করে রাখা হয়নি।’’ তাঁরা আরও বলেন, কলেজে কক্ষগুলির ভেতরে বেঞ্চ, চেয়ার ভেঙে পড়ে রয়েছে, পড়ে রয়েছে চিকিৎসক, নার্সদের পরনের ব্যবহৃত পোশাক । এমনকি কাচের জানালা পর্যন্ত ভাঙা রয়েছে। আগামী কুড়ি তারিখ কলেজ খোলার চেষ্টা চলছে৷
আরও পড়ুন : কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ উপভোগ করতে এ বার পাকদণ্ডি বেয়ে হিমকন্যায় দার্জিলিং থেকে কার্সিয়ং
কলেজের অধ্যক্ষ বিজয় দেবনাথ বলেন, ‘‘আমরা বার বার কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং বিভিন্ন আধিকারিকের কাছে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম কলেজটি আমাদেরকে হ্যান্ডওভার করা হোক। কিন্তু তারা চাবি এতদিন দেননি, সোমবার দুপুর বারোটা নাগাদ চাবি এনে আমাদের কর্মীদের হাতে দিয়ে যান। গোটা কলেজ ঝোপ জঙ্গলে ভরে রয়েছে। কলেজকে সেফ হোম করা হলেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়নি। সেই কারণে সরকারি ঘোষণা মতো কলেজের পঠন-পাঠন শুরু করা যায়নি ৷ তবে আশা করছি খুব শীঘ্রই কলেজের ক্লাস শুরু করা যাবে।’’
( প্রতিবেদন-রকি চৌধুরী)