অভিযোগ, বাজার সেরে সিনেমা হলপাড়ার বাড়ি ফিরছিলেন কৃষ্ণ কুমার রায়। ফালাকাটা গামী সড়কে দুই বাইক আরোহী তাঁর পথ আটকায়। নিজেদের দিল্লি পুলিশের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে হিন্দিতে কথা বলতে শুরু করে তারা। লম্বা চওড়া গঠন ও কড়া ভাষায় কথা বলায় প্রাক্তন সেনা কর্মী সত্যিই তাদের আধিকারিক ভেবে ফেলেন। এরপর অভিযুক্তরা সতর্ক করে বলেন রাস্তায় সোনার গয়না পরে ঘোরা বিপজ্জনক, এর আগেও খুন হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : ২৫ কিলোমিটার দূরে ভুল সেন্টারে SSC পরীক্ষার্থী! গ্রীন করিডরে শেষমুহূর্তে যা ঘটল, বিশ্বাসই হবে না
আতঙ্কিত হয়ে কৃষ্ণ কুমার রায় গলার চেন ও হাতের আংটি খুলে তাদের হাতে তুলে দেন। আশেপাশে থাকা এক অপরিচিত পথচারীকেও একইভাবে গয়না খুলে দিতে বাধ্য করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই দুই ব্যক্তি একটি কাগজের মোড়ক দিয়ে বলেন, ভেতরে গয়না রাখা আছে, বাড়ি গিয়ে খুলতে। কিন্তু বাড়ি ফিরে কৃষ্ণ কুমার রায় দেখেন, কাগজের ভেতরে রয়েছে শুধু বালি, সোনার অলংকার নেই একটিও।
আরও পড়ুন : ছুটির দিনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একপাল হাতি! ভয়ে তটস্থ বাসিন্দারা, ভিডিও না দেখলে আপনিও বিশ্বাস করতে পারবেন না
এরপর তিনি ও তাঁর মেয়ে মাধবী রায় ছুটে যান ধূপগুড়ি থানায় এবং পুরো ঘটনার অভিযোগ জানান। খবর ছড়িয়ে পড়তেই শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। পুলিশ আশেপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে, মুখে মাস্ক পরা দুই সন্দেহভাজনের ছবি হাতে পায়। কৃষ্ণ কুমার রায় তাঁদের চিনতে পেরেছেন বলে দাবি পুলিশের । পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তরা ভিনরাজ্যের বাসিন্দা, কারণ তাদের শারীরিক গঠন স্থানীয়দের সঙ্গে মেলে না এবং তারা হিন্দি ভাষায় কথা বলছিলেন। বর্তমানে গোটা জেলা জুড়ে তল্লাশি চলছে। দিনেদুপুরে দিল্লি পুলিশের নাম ভাঙিয়ে লুট হওয়ায় শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, আতঙ্কে কাঁপছে সাধারণ মানুষ।