সূত্রের খবর, এর আগে যেমন চা বলয়ের শ্রমিকদের নিয়ে সমাবেশ করা হয়েছিল। এবার, সেইরকমই শ্রমিক সমাবেশ করা হতে পারে বলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃতব সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই চা বাগানকে মাথায় রেখে আলিপুরদুয়ার থেকে জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইককে রাজ্যসভার সাংসদ করা হয়েছে। তাতে চা বলয়ের ভোটারদের বার্তাও দিতে পেরেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: ১ টাকার মাস্টারমশাই! প্রায় ৫০ পড়ুয়ার ভরসা এখন এই ষোল আনার পাঠশালা
advertisement
অন্যদিকে, পরিসংখ্যান বলছে ধূপগুড়ির বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে৷ এর মধ্যে বারোঘোরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় দুই হাজার লিড পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, এখানে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করে৷ বিজেপির বিক্ষুদ্ধ হিসাবে একজন এখানে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। প্রার্থী নিয়ে তাদের তীব্র আপত্তি ছিল। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে শাসক দল। সংখ্যালঘু ভোট বড় ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করেছে গাদং-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে৷ সেই ভোট পুরোটাই গিয়েছে প্রায় শাসকদলের বাক্সে৷
এছাড়া, মাগুরমারি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেও ব্যাপক লিড পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তৃণমূল কংগ্রেস শিবির আশাবাদী, ধূপগুড়ি পুরসভা এলাকায় তাদের ভোট বেড়েছে৷ ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে পুরসভা ভিত্তিক ফল বিন্যাসে দেখা গিয়েছিল ১৬ ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস মাত্র ২টি ও বিজেপি ১৪টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল। ২০২২ সালে বিজেপি চার ওয়ার্ডে ও তৃণমূল কংগ্রেস ১২ ওয়ার্ডে এগিয়ে যায়৷ তবে এই পুনর্নির্বাচনে বিজেপি ৭ ও তৃণমূল কংগ্রেস ৯ আসনে এগিয়ে আছে৷
ধূপগুড়ির ফল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ধূপগুড়ি জেতা হয়েছে৷ কোথাও কোথাও এগিয়েছে, কোথাও বিজেপি ভোট পেয়েছে। আগামিদিনে ভোট পেতে সেটা দেখা হচ্ছে।