গত ৩০ ও ৩১ অগাস্ট দু’টি দিন জনসভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। গত ২৫ জুলাই কলকাতার হাসপাতালে প্রয়াত হন বিজেপির বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়। সে কারণেই ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন হচ্ছে। ২০২১ সালে বিজেপির বিষ্ণুপদ রায় ১০৪৬৮৮ ভোট পান। সেখানে তৃণমূলের মিতালি রায় ১০০৩৩৩ ভোট পেয়েছিলেন। ৪ হাজার ৩৫৫ ভোটে জয়ী হন বিজেপি নেতা। তাঁর মৃত্যুতেই এবার উপনির্বাচন হতে চলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন-রাশিফল ২ সেপ্টেম্বর; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
২০১৬ সালে এই আসন থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়েন মিতালি রায়। ৯০৭৮১ ভোট পেয়ে জেতেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইএমের মমতা রায়। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৭১,৫১৭। অর্থাৎ জয়ের ব্যবধান ছিল ১৯,২৬৪ ভোট। যদিও পাঁচ বছরের মধ্যে সেই অবস্থা বদলে যায় পুরোপুরিভাবে। উত্তরবঙ্গে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট থেকে ভাল ফল করে বিজেপি। যদিও সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত ভোটে উত্তরের জেলায় ভাল ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরের জেলাগুলি থেকেই নবজোয়ার যাত্রা শুরু করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারেও উত্তরের জেলায় গিয়েছিলেন অভিষেক। এবার ধূপগুড়ি উপনির্বাচনেও ভাল ফল করতে আশাবাদী বাংলার শাসক দল। তাই আজকে অভিষেকের এই সফর রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন– চাঁদে হাইড্রোজেন সন্ধান করার জন্য এত তৎপরতা কেন? জেনে নিন বিশদে
গত বছর জুলাই মাসেই ধূপগুড়িতে সভা করে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে চা বাগান এলাকার সব আসন জিতেছিল বিজেপি। এমনকী, বিধানসভা ভোটে ভরাডুবিতেও চা বাগানের আসনগুলি জিতেছিল বিজেপিই। তাই আগে থেকে এ বার নিজেদের ঘুঁটি সাজানো শুরু করেছে তৃণমূল। যার ফলে ঘনঘন চা বাগানে যাওয়া শুরু করেছেন অভিষেক। চা বলয়ের সভায় আগেই যোগ দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূল ও INTTUC শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে চা শ্রমিকদের নিয়ে সোচ্চার হব, যেখানে যা দরকার হবে, পাশে দাঁড়াব। অনেকের মধ্যেই ধারণা তৈরি হয়। কিন্তু ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা কেন দাবি দাওয়া নিয়ে সরব হচ্ছেন না? সমাবেশে আপনারা পিএফ গ্র্যাচুইটি নিয়ে সমস্যার কথা বলেছেন, সে সব আমার কানে এসেছে। পানীয় জলের সমস্যার কথা বলেছেন, মজুরির কথা বলেছেন, সেগুলি কানে এসে পৌঁছেছে। একদিকে দার্জিলিং হিল…ওই দিকে উত্তর দিনাজপুর, প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ চা শ্রমিক এই সমাবেশের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় বা টিভিতে দেখছেন।’’