Chandrayaan-3: চাঁদে হাইড্রোজেন সন্ধান করার জন্য এত তৎপরতা কেন? জেনে নিন বিশদে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
যন্ত্রাংশগুলি এখন চাঁদে হাইড্রোজেনের উপস্থিতি খতিয়ে দেখছে। কিন্তু কেন হাইড্রোজেনের সন্ধান করে চলেছে প্রজ্ঞান রোভার?
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রজ্ঞান রোভার পাঠিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। ইতিমধ্যেই তা নিজের কাজ শুরু করে বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করে চলেছে। ফলে এখন গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের চোখ স্থির রয়েছে এই রোভারের উপর। এখনও পর্যন্ত চাঁদে সালফার এবং অক্সিজেন-সহ মোট ৯টি রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতির সন্ধান পেয়েছে প্রজ্ঞান। (Photo: ISRO)
advertisement
ইসরো বলছে, প্রজ্ঞান রোভারের যন্ত্রাংশগুলি এখন চাঁদে হাইড্রোজেনের উপস্থিতি খতিয়ে দেখছে। কিন্তু কেন হাইড্রোজেনের সন্ধান করে চলেছে প্রজ্ঞান রোভার? আসলে হাইড্রোজেন আবিষ্কার হলে তা ভবিষ্যতের গবেষণার দিক নির্ধারণ করবে। এখনও পর্যন্ত কী কী আবিষ্কার করেছে প্রজ্ঞান? ইসরো-র দাবি, প্রজ্ঞান রোভারের লেজার ইনডিউজড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ চন্দ্রের মেরুতে সিলিকন এবং অক্সিজেন ছাড়াও অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ক্রোমিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং সিলিকনের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে হাইড্রোজেন সন্ধান করে চলেছে প্রজ্ঞান। এটা নিয়ে বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত আশাবাদী।
advertisement
কেন হাইড্রোজেন সন্ধান করা হচ্ছে? এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন চন্দ্রের পৃষ্ঠে হাইড্রোজেন সন্ধান নিয়ে এত হইচই কেন হচ্ছে? আসলে এর পিছনে রয়েছে ২০০৮ সালে ভারতের চন্দ্রযান-১ আবিষ্কার। যেখানে দেখা গিয়েছে যে, দক্ষিণ মেরুতে বরফের আকারে জল রয়েছে। এই কারণেই এখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুর দিকেই বিশ্বের সকল মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চোখ।
advertisement
চাঁদে হাইড্রোজেন খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? চন্দ্রযান-১ এবং অন্যান্য উৎস থেকে জানা গিয়েছে যে, চাঁদে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন রয়েছে। তবে সেখানে হাইড্রোজেন কী আকারে রয়েছে, সেটাই অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আসলে ইসরো আগে এই একই এলাকায় প্রচুর পরিমাণ জলের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছিল। এখন শুধু প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে।
advertisement
ফলে এই মুহূর্তে আর একটা প্রশ্নও উঠছে যে, যখন প্রজ্ঞান অক্সিজেন-সহ ৯টি উপাদানের সন্ধান পেয়েছে, তাহলে হাইড্রোজেন আবিষ্কার করতে সময় লাগছে কেন? এর সবচেয়ে বড় কারণ হল, এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্ত শুধুমাত্র সীমিত পরিসরে করেছে প্রজ্ঞান। মনে করা হচ্ছে যে, আরও গবেষণা করা হলে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন পাওয়া যেতে পারে।