হাতিনালার জল ঢুকেছে বানারহাট হাসপাতালের ইন্ডোরে। জলমগ্ন ডাক্তার ও নার্সদের কোয়ার্টারও। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে কোয়ার্টার ছাড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বাড়ছে দুর্ভোগ। বারোজন মা ও সদ্যোজাতকে নৌকায় করে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ধূপগুলি ব্লক স্বাস্থ্য হাসপাতালে।
এক কোমর জল পেরিয়েই চলছে ঝুঁকির যাতায়াত। জল ঢুকেছে বানারহাট থানা ও রেঞ্জ অফিসে। জলমগ্ন বারোহালিয়া, চড়চড়াবাড়ি, গাদং, শান্তিপাড়া, কুরশাবাড়ি, ফটকতাড়ি, নেতাজিপল্লি, সুভাষনগর, এস এ কলোনি - সহ একাধিক গ্রাম। অধিকাংশ বাড়ির মধ্যে দিয়ে বইছে জলের স্রোত। বিন্নাগুড়ির প্রায় পনেরোটি চা বাগান জলমগ্ন। জলের তলায় পাঁচ হাজার বিঘে চাষের জমি।
advertisement
বানারহাট থেকে নাগরাকাটা যেতে গ্রাসমোড়ে কালভার্ট ভেঙে বিপত্তি। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে শিলিগুড়িগামী গাড়ি চলাচল বন্ধ। সতর্কতা জারি হয়েছে আলিপুরদুয়ারের কালজানি নদীতে। রেললাইনে জল জমে যাওয়ায় আলিপুরদুয়ার থেকে ডুয়ার্স হয়ে এনজেপি যাওয়ার সব ট্রেন আপাতত বাতিল করা হয়েছে।
মানুষের সঙ্গে বিপন্ন বন্যপ্রাণও। প্রাণে বাঁচতে বানারহাটে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চাবাগানে বাসিন্দা বিষধর গ্রিন ভাইপার। তাকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে খুট্টিমারির জঙ্গলে। বিরামহীন বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও খারাপের আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের।
জলপাইগুড়ি থেকে রনি চৌধুরী
নিউজ 18 বাংলা