হাতে গোনা দিন বাকি। ইংরেজি নববর্ষের আগে পাহাড়ে এখন উৎসবের মেজাজ। কেভেন্টার্স হোক বা গ্লেনারিজ, লম্বা লাইন! তার সঙ্গেই হিমশীতল ঠান্ডা। তাতে কী এসে যায়! কেউই আর হোটেলবন্দি নয়। ইতিউতি চোখ পড়লেই দেখা মিলছে আগুন পোহানোর ছবি। অপেক্ষা এখন তুষারপাতের। সান্দাকফুর তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১ ডিগ্রিতে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, নতুন বছরের গোড়াতেই বরফ পড়তে পারে পাহাড়ে। আর বছর শেষে পাহাড়ে বেড়াতে এসে যদি ট্যুরিজম ফেস্টিভালের দেখা মেলে, আর কী-ই বা চাই! নাচে-গানে জমজমাট উৎসব। জিটিএর উদ্যোগে শুরু হয়েছে এই দার্জিলিং ট্যুরিজম ফেস্টিভাল। এখানে মিলছে রকমারি খাবার। স্পেশাল মোমো, সিক কাবাব! জিভে জল আনার জোগাড়!
advertisement
আরও পড়ুন- বাইরের রাজ্যে থাকলেও দেওয়া যাবে ভোট, নতুন পদ্ধতি নিয়ে ভাবনা নির্বাচন কমিশনের
আরও পড়ুন- করোনার সময় বাংলা থেকে নিখোঁজ এক লাখ মহিলা! ৫৬ হাজারের খোঁজ নেই এখনও
এখানেই শেষ নয়। রয়েছে স্থানীয়দের তৈরি উলের পোশাক। রকমারি টুপি, মাফলার, হ্যাণ্ড গ্লাভস। মিলছে বেড়াবার নয়া ডেস্টিনেশনের খোঁজ। এক মঞ্চে হাজারো স্টল। ম্যালে জমিয়ে আড্ডার মাঝে স্টলে স্টলে বেড়িয়ে আসা যায়। কিছু খাওয়া আর কিছু কেনা! কুয়াশার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলা। হর্স রাইডিংয়ে মেতে কচিকাঁচারা! চলছে দেদার সেল্ফি আর গ্রুপফি তোলা। ঠাণ্ডাকে উপভোগ করতেই যেন এই সময়ে পাহাড়কে বেছে নেওয়া। সঙ্গে বাড়তি পাওনা এই ট্যুরিজম ফেস্টিভাল। পর্যটকরাও অন্য মেজাজে। মূলত পাহাড়ের পর্যটনকে সর্বত্র তুলে ধরতেই এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন।
জিটিএর চিফ এগজিকিউটিভ জানান, এখানকার পর্যটন শিল্পকে আকর্ষণীয় করতেই এই উদ্যোগ। এখন অপেক্ষা তুষারপাতের। বেড়াতে আসা পর্যটক ময়ূরিকা ভট্টাচার্য ও শ্রাবণী নিয়োগীরা বলছেন, ঠান্ডাকে উপভোগ করতেই তো এই সময়টাকে বেছে নেওয়া। বরফ দেখার অপেক্ষাই রয়েছি। টাইগার হিল বা চিড়িয়াখানায় শুধুই ভিড় আর ভিড়। খুশী পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।
পার্থ প্রতিম সরকার