আরও পড়ুন: দার্জিলিঙের কমলা তো অনেক খেলেন, এবার স্বাদ বদল হোক ভুটানের লেবুতে
তুফানগঞ্জের অন্দরানফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষপল্লি এলাকায় বাড়ি ভীম সাহার। তাঁর তৈরি কেক শুধুমাত্র তুফানগঞ্জ নয়, কোচবিহারের অন্যত্র যেমন নাটাবাড়ি, ধলপল, বালাভূত, চিলাখানা, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার শহরের পাশাপাশি অসমেও পাড়ি দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে কেক বানানোর সঙ্গে যুক্ত ভীমবাবু। প্রতি বছর শীতের সময় তিনি কেক তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। গোটা বছর জুড়েও অল্পবিস্তর কেক বানিয়ে থাকেন তিনি। তবে কোচবিহারের এক সাধারণ বেকারির কেক ঘিরে যে ভিন রাজ্যে চাহিদা তৈরি হয়েছে এটা সত্যি দারুণ বিষয়।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
ভীম সাহা জানান, এবার প্রায় ৫ হাজার কেকের অর্ডার এসেছে। তাই ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। সারারাত কেক তৈরি হয়। সকাল থেকে শুরু হয় কেকের ডিজাইনিংয়ের কাজ। প্রতিটি কেক মোটামুটি ৪০ দিন ঠিকঠাক থাকে। তিনি একসময় মেঘালয়ের একটি কেকের কোম্পানিতে দীর্ঘ ১৩ বছর কাজ করেছেন। সেখান থেকেই এই ব্যবসার প্রতি ভালোলাগার সূত্রপাত। এখন নিজের বাড়িতেই ঋণ নিয়ে কেকের ব্যবসা করছেন। এই কেক বিক্রি করেই সংসার চালান। পরিবারে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী ও দুই সন্তান আছে। বড়দিনের আগে গোটা পরিবারের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে উঠেছে। তাঁর তৈরি কেকের দাম মাত্র ১২০ টাকা থেকে শুরু। ভীমবাবুর কাছে ১,০০০ টাকা দামের কেকও পাওয়া যায়। স্থানীয়রা জানালেন, ভীম সাহার বাড়িতে তৈরি কেক গুণগতমান এবং স্বাদে বড় বড় সংস্থার তৈরি কেক-কে হারিয়ে দেবে।
সার্থক পণ্ডিত