সেই পাঁচের দশকে পাঁচ আনার প্রাণহরা আজ পৌঁছে গিয়েছে ১২ টাকায়। ধীরে ধীরে জিনিসের দাম বৃদ্ধি ও চাহিদা বৃদ্ধিতে দাম বেড়েছে এই মিষ্টির। মিষ্টির দোকানের কর্ণধার সত্যনারায়ণ বণিক জানান, ‘কোচবিহারে তাঁদের দোকানে পাশাপাশি কলকাতার একটি দোকানেও এই প্রাণহরা সন্দেশ পাওয়া যায়। এছাড়া গোটা উত্তরবঙ্গে এই মানের প্রাণহরা সন্দেশ আর কোথাও পাওয়া যায় না। কোচবিহার রাসমেলা মাঠের এক পাশে তাঁদের দোকান আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। তবে একটা সময় এই মিষ্টির টানেই এই দোকানে ভিড় জমাতেন বহু মানুষ। বিভিন্ন নামীদামি মানুষেরা কোচবিহারের এই মিষ্টির স্বাদ নিতে আসতেন এই দোকানে।’
advertisement
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
তিনি আরও জানান, ‘মোট তিন ধাপের রসায়নে তৈরি হয় এই মিষ্টি। ছানার সঙ্গে ক্ষীর মাখা হয়। এবং তাঁতে মেশানো হয় একেবারে পরিশুদ্ধ গোলাপ জল। আর তারপর কিছু বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যেমে তৈরি হয় এই বিশেষ মিষ্টি।’
সত্যনারায়ণ বণিকের ছেলে বিশ্বজিৎ বণিক জানান, ‘তাঁর দাদুর সময়ের এই মিষ্টি তাঁদের ঐতিহ্য বহন করে আসছে দীর্ঘ সময় ধরে। তাই আগামী দিনেও তাঁরা এই মিষ্টির মন একই রকম ভাবে ধরে রাখবেন। তবে দিন যত যাচ্ছে এই মিষ্টির চাহিদা ততটাই বেড়ে উঠছে।’ জেলা কোচবিহারে ঘুরতে আসলে অন্তত একবার এই মিষ্টির স্বাদ নিয়ে দেখতে পারেন। এই মিষ্টির স্বাদ নিশ্চিত ভাবে যেকোনও মানুষের প্রাণ হরণ করবে এটুকু নিঃসন্দেহে বলা সম্ভব।
Sarthak Pandit