ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ার কুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ঝাড়আলতা জমাদার পাড়া সংলগ্ন এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার জমাদার পাড়ার বাসিন্দা বিমল রায়ের বাড়িতে হঠাৎই হরিণটিকে দেখতে পাওয়া যায়। হরিণটি বাড়ির বাথরুমে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তার পরিবারের লোকেরা পরে সেই হরিণকে তাড়া করতেই বাড়ির রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে। এর পর খবর দেওয়া হয় বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াড এবং নাথুয়া রেঞ্জের বন কর্মীদের। বন কর্মীদের পৌঁছাতে দেরি দেখে পরিবারের লোকেরা হরিণটিকে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেই বাড়িতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন হরিণ দেখতে।
advertisement
কখনও বা চিতাবাঘ কখনো হাতি আবার কখনও হরিণ, আবার কখনও অজগর- এভাবেই বারবার বন্য পশুর লোকালয়ে চলে আসায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। পরে হরিণটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান নাথুয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। পরে সুস্থ অবস্থায় আবার জঙ্গলে ছেড়ে দেন।
আরও পড়ুন: 'দেশে বিদ্রোহের পরিস্থিতি তৈরি করছে', কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন স্বামী! ব্যাপার কী?
এদিকে, ফের হাতি মৃত্যুর ঘটনা। এবার হস্তিশাবকের মৃতদেহ উদ্ধার করল বন দফতর। মঙ্গলবার সকালে বাঁকুড়ার উত্তর বনবিভাগের রাধানগর রেঞ্জের বড়শোল জঙ্গলে মৃত অবস্থায় হস্তিশাবকটিকে উদ্ধার করে বন দফতর। হস্তিশাবকের বয়স ৫ থেকে ৬ মাস। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঠিক কী কারনে হাতিটির মৃত্যু হল, তা জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
আরও পড়ুন: ফের খুনের বদলা আগুন, জ্বলল বাড়ি-গাড়ি! গলসিতে ঠিক ঘটল কী? পুরুষশূন্য গ্রাম
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হস্তিশাবকটি হাতির দলের সঙ্গেই ছিল। সম্প্রতি উত্তর বনবিভাগে পরপর দুটি হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দুটি হাতির ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ হিসাবে উঠে এসেছিল বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার কারণ। এই দুটি ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের হস্তিশাবকের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন বন দফতর। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ দাবি করেছেন, প্রবল গরমে এলাকার পুকুরগুলি শুকিয়ে যাওয়ায় জল খেতে পায়নি ওই খুদে শাবকটি। যদিও বন দফতর সেই যুক্তি মানতে নারাজ। বন দফতরের দাবি, হাতির শাবকটি সাধারণ ভাবে মারা গিয়েছে।