হাতের স্মার্ট ওয়াচে তাপমাত্রা তখন ৯ ডিগ্রি। তবে, ম্যাচের চাপা উত্তেজনার আঁচে সেই হিমেল হাওয়া তখন গায়ে লাগছে কই! শীতের কাঁপুনি ভুলিয়ে ভিনদেশি উষ্ণতা তখন ম্যালের বাতাসে।
পাশাপাশি, দাঁড়িয়ে থাকা সুনীতা মুখিয়ার সঙ্গে গড়িয়ার সুস্মিতার হাত ধরে নাচ। বনগাঁ থেকে আসা প্রসেনজিতের সঙ্গে কোথায় যেন মিলে যায় মহারাষ্ট্রের শিবেন্দ্র। কাঁধে কাঁধ রেখে গোলের পরে চিৎকার বোধহয় আরও একবার বুঝিয়ে দিচ্ছিল ফুটবল কোনও দেশ, কোনও রাজ্য, কোনও জাতি মানে না। ফুটবলের হাত ধরেই দার্জিলিঙের ম্যাল কখন যেন পৌঁছে গিয়েছিল কাতার স্টেডিয়ামে।
advertisement
আরও পড়ুন- ৩৬ বছর পর মেসির হাতেই বিশ্বসেরা মারাদোনার দেশ, নীল সাদা আকাশের পুরোটাই আর্জেন্টিনা!
পর্যটন ব্যবসায়ীরা অবশ্য বলছেন, কাতার বিশ্বকাপের হাত ধরেই দার্জিলিঙে শুরু হয়ে গেল বড়দিনের উৎসব উদযাপন। রবিবারের সকালে দার্জিলিং মেল বা পদাতিক এক্সপ্রেস NJP পৌঁছনোর পর থেকেই একের পর এক গাড়ি এসে থেমেছে মোটর স্ট্যান্ডে। তারপর কার্শিয়াঙ হোক কিংবা দার্জিলিঙের ম্যালের রাস্তা, সব ছবিটাই এক রকম।
আরও পড়ুন- চাকরি যাওয়া ম্যানেজার থেকে বিশ্বকাপ জেতা কোচ! স্কালোনিতে ডুবে গোটা আর্জেন্টিনা
মাথার উপরে ঝুলছিল ফ্রান্স অথবা আর্জেন্টিনার পতাকা। রাস্তার ধারে দাঁড় করানো প্রিয় খেলোয়াড়ের কাট আউট। দেওয়ালে দেওয়ালে সাঁটা পোস্টার। রাতের দার্জিলিংয়ে জায়ান্ট স্ক্রিনে ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল এর আগে কবে শেষবার কবে পাহাড়ের রানি দেখেছে, তা কেউই মনে করতে পারছেন না।
তবে রবির রাতের দার্জিলিঙের নানা মুহূর্ত যেভাবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে একটা বিষয় পরিষ্কার, এর চেয়ে বড় পর্যটনের বিজ্ঞাপন বোধহয় আর হয় না।
প্রিয় দল জিতেছে, প্রিয় দল হেরেছে। রবি রাতের ম্যালের আকাশ বুঝিয়ে দিয়েছে আসলে কিন্তু জিতেছে মানুষ। মধ্যরাতের গিটার, আকাশজোড়া আতসবাজির রঙিন আলো উৎসব হয়ে নেমে এসেছে সকলের মাঝে।