দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর খ্যাতি বিশ্বজোড়া। যেমন স্বাদ, তেমন তার সুগন্ধ। কিন্তু গত কয়েক বছর ফলন তেমন না হওয়ায় বিশ্বের বাজারে তো বটেই উত্তরবঙ্গের বাইরে চাহিদা মেটাতে পারেনি পাহাড়ি কমলালেবু। এবারেও বাংলাদেশে চাহিদা থাকলেও রফতানি হয়নি পাহাড়িলেবু। তবে এবারে উত্তরবঙ্গের গণ্ডি কিছুটা হলেও টপকাতে পেরেছে। সাইজের দিক থেকে গত কয়েক বছরকে টেক্কা দিয়েছে দার্জিলিংয়ের লেবু।
advertisement
মাঝে অজানা পোকার থাবায় মাথায় হাত ওঠে কমলালেবু চাষিদের। বছরভর জমি রক্ষণাবেক্ষণের ফল এবারে মিলেছে লেবু চাষিদের। ফলনও কয়েকগুন বেড়েছে। বাঙালির প্রিয় পাহাড়ের লেবুর স্বাদ মেটাতে পেরেছে শৈলশহর। তবে দাম বেশ চড়া। এক ডজন কমলালেবু খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। অর্থাৎকিনা প্রতি পিস লেবুর দাম ১৫ থেকে ১৬ টাকা।
হাসি ফুটেছে লেবু চাষিদের মুখে। মরসুমের শেষ বেলায় বাজারে হাজির পাহাড়িলেবু। দামের দিক থেকে সাধ্যের বাইরে গেলেও স্বাদে যে পয়লা নম্বর! যা পঞ্জাবের কিনো বা ভুটানের লেবুকে অনেকটাই পেছনে ফেলে দিয়েছে। চাষিদের কথায়, 'গত ২-৩ বছরের তুলনায় এবারে পাহাড়ের লেবুর সাইজ এবং স্বাদের গুণগত মানে অনেকটাই এগিয়ে। পুরনো মেজাজেই ফিরেছে। তাই চাহিদাও বাড়ছে।'
এমন ফলন আগামীবার হলে বিশ্বের বাজারেও রপ্তানী হবে দার্জিলিংয়ের কমলালেবু। একদিকে আন্দোলনের জেরে লাগাতার বনধ, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, অজানা পোকার আক্রমণের জেরে ফলন প্রায় তলানিতে ঠেকেছিল। উৎপাদন অনেকাংশেই কমে আসছিল। চলতি বছরে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। দার্জিলিংয়ের টাকভার, সিটং, বিজনবাড়ির লেবুর ফলন এবারে ভালোই হয়েছে। তেমনি বাদামতাম, সিংতামের লেবুর উৎপাদনও বেড়েছে। এইসব এলাকার লেবুই এখন বাজার মাত করছে। আর তাই লাভের মুখ দেখছে নিতু রাই, দেবেন্দ্র মাহাতোরা।
রিপোর্টার: পার্থপ্রতিম সরকার