আরও পড়ুনঃ নায়িকা এখনও ‘একা’! ডিভোর্স হতে না হতেই ছাদনাতলায় শ্রাবন্তীর প্রাক্তন! পাত্রীটি কে জানেন?
আর এই ভয়েতে কাবু হয়েই ১২ লক্ষ টাকা খোয়ালেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। জঙ্গিরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে..! এই ভয় দেখিয়েই সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়েছিলেন জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা ঝন্টু বসু। আর সেই ভয় থেকেই একে একে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন ১২ লক্ষ টাকা। তবে ভাগ্যক্রমে এই ঘটনার পিছনে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জেলা পুলিশের সাইবার সেলের তৎপরতায় উদ্ধার হয় পুরো টাকা, যা বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয় ঝন্টুবাবুকে।
advertisement
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের সদর দফতরে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খন্ড বাহালে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।এই অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত ও পদোন্নতি পাওয়া পুলিশ সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি তিনটি সাইবার প্রতারণার মামলার ভুক্তভোগীদের ফেরানো হয় তাদের খোয়া যাওয়া অর্থ। পুলিশ সুপার জানান, “সাইবার প্রতারকরা মূলত ভয়, প্রেম এবং লোভ—এই তিনটি মনস্তত্ত্বকে ব্যবহার করেই সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলছে।
ঝন্টুবাবুকে বলা হয়েছিল, তাঁর ফোন জঙ্গিরা ব্যবহার করেছে, আর সেখান থেকেই শুরু হয় প্রতারণা।” ভুক্তভোগী ঝন্টু বসুর কথায়—“আগে বুঝতে পারিনি, তাই ভুল করেছিলাম। আজ পুলিশের সৌজন্যে আমার টাকা ফিরে পেলাম। কৃতজ্ঞ ওদের প্রতি।”পুলিশের এই তৎপরতা প্রমাণ করে, সাইবার অপরাধীরা যতই ধূর্ত হোক না কেন, আইন ও প্রযুক্তির সম্মিলিত প্রয়াসে তাদের পরাস্ত করা সম্ভব। তাই সতর্ক থাকুন, বিভ্রান্ত হবেন না—সাইবার জালিয়াতির বিরুদ্ধে আপনিই প্রথম সুরক্ষা!
সুরজিৎ দে