কাস্টমস সূত্রে খবর, ময়নাগুড়িতে হাইওয়ের উপরে যাত্রী বাহী বাস থেকে এই বিদেশী বাঁদরগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে। অসম থেকে শিলিগুড়িতে আসছিলো বাসটি। শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা ওই যাত্রী ভর্তি বাসের ভিতর তিনটি খাঁচা থেকে চারটি বিরল প্রজাতির বিদেশী বাঁদর উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: চার শাবকের দুষ্টুমি সামলাতে বাঘিনী শিলা এখন বেজায় ব্যস্ত, দেখুন ওদের ‘বাঘবেলার’ ভিডিও
advertisement
এর পর শুল্ক দফতর যোগাযোগ করেন ডিরেক্টর ওফ নর্থ বেঙ্গল ওয়াইল্ড পার্ক বেঙ্গল সাফারির কর্তাদের সঙ্গে। তাদের হাতে ওই উদ্ধার করা বাঁদর গুলিকে তুলে দেয় শুল্ক দফতর। যার বাজার মূল্য এক কোটি দশ লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে।
শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁদের আধিকারিকরা পৌঁছে যান ময়নাগুড়িতে। সেখানে শিলিগুড়িগামী বাসকে দেখে সন্দেহ হয়। বাসে উঠে গোয়েন্দারা তল্লাশি করতে বাসের নীচের দিকে ডিকি থেকে উদ্ধার হয় তিনটি খাঁচা।
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেন থেকে শরীর বের করে সেলফি, উত্তরবঙ্গে বেড়াতে এসে বিপদে যুবক
যাত্রীদের মধ্যে কেউ ওই বাঁদরগুলিকে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেননি । এই সুযোগে বাসের চালক ও খালাসি এই বহুমূল্য বিরল প্রজাতির বাঁদর হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ছিল। কিন্তু তার আগেই শুল্ক দফ্তর ওই বিরল প্রজাতির বিদেশী বাঁদরগুলিকে উদ্ধার করে।
প্রাণীগুিকে অসম থেকে আনা হচ্ছিল বলে শুল্ক দফতর সূত্রে খবর। এই বিরল প্রজাতির বিদেশী বাঁদর কোথায় পাচার হচ্ছিল? এই চক্রে কারা জড়িত? কাদের কাছে পাচার করা হচ্ছিল প্রাণীগুলিকে? এই সব বিষয়ে খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে বাঁদরগুলিকে যাত্রী বাহী বাসে এমন ভাবে পাচার করা হচ্ছিল যাতে কেউ সন্দেহ না করে।