স্থানীয়দের দাবি, বেশিরভাগ এটিএম কার্ড এখনও আরও কয়েকবছর 'ভ্যালিড' রয়েছে। এই অবস্থায় এটিএম কার্ড কে বা কারা পুকুর পারে ফেলে রাখল ? তা নিয়ে রহস্য দানা বেধেছে। প্রশ্ন উঠেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও। মালদহের রতুয়া- ২ নম্বর ব্লকের মহারাজপুর এলাকায় ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, গ্রাহকদের নামে তৈরি হওয়া ওই এটিএম কার্ডগুলি কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ইস্যু করা যায়নি। ওই এটিএম কার্ডগুলি কার্যত 'বাতিল'।
advertisement
সেগুলি দিয়ে কোনও গ্রাহকের ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে টাকা তোলা সম্ভব নয়। ফলে গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, কীভাবে ব্যাঙ্ক নজর এড়িয়ে পুকুর পাড়ে পড়ে থাকল বিপুল পরিমাণ এটিএম কার্ড, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।
গ্রাহকদের অনেকেরই আশঙ্কা এর ফলে তাঁদের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নানা জরুরি ও গোপনীয় তথ্য বাইরে বেরিয়ে এসেছে। ফলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। জানা গিয়েছে, শিশুরা বিপুল পরিমাণে এটিএম কার্ড কুড়িয়ে পাওয়ার পর প্রায় ১০ কেজি এটিএম কার্ড পুরনো জিনিস ক্রেতাদের হাতে বিক্রি করে দেয়। কেজি দরে ওই কার্ড বিক্রি করা হয়। গ্রাহকদের আশঙ্কা সব মিলিয়ে হাজারেরও বেশি এটিএম কার্ড এভাবেই লোপাট হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন, বড় অভিযানে ইডি, ১৫ জায়গায় রেইড! এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত ২০০ কোটির বেশি সম্পত্তি
আরও পড়ুন, 'দ্য ডিপেস্ট সাবওয়ে মেট্রো' স্টেশন! কবে থেকে চালু হাওড়া-শিয়ালদহ মেট্রো? বড় খবর
গোটা ঘটনা খতিয়ে রাখার আশ্বাস দিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, ওই এটিএম কার্ডগুলি কার্যত বাতিল। ফলে মেয়াদ থাকলেও ওই কার্ডগুলি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে কীভাবে ব্যাঙ্কের জিনিস এভাবে বাইরে বেরিয়ে এল, তা খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও।
সেবক দেবশর্মা