সিকিম থেকে আগামীকাল থেকেই যারা আসবেন দার্জিলিং, কালিম্পং-এ তাঁদেরকে আরটিপিসিআর রিপোর্ট বা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। অথবা ভ্যাকসিনেশনের দুটি ডোজ থাকতে হবে। শেষ ৭২ ঘন্টায় আরটিপিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ থাকতে হবে, আর র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট হলে ৪৮ ঘন্টা আগে টেস্ট করে রিপোর্ট আনতে হবে। গাড়ির ড্রাইভার থেকে শুরু করে খালাসী সবার ক্ষেত্রেই নির্দেশিকা কার্যকর হবে। নবান্নের নির্দেশে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার জেলাশাসক এই নির্দেশিকা জারি করল। সিকিম সরকারকেও এই নির্দেশিকা পাঠানো হল দুই জেলার জেলা শাসকের তরফে।
advertisement
করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রে রাজ্যে আনুপাতিক হার বেশি উত্তরের দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায়। অন্য জায়গায় আক্রান্তের হার যেখানে ১ শতাংশ, সেখানে এই দুই জেলায় আক্রান্তের হার ৩ শতাংশ। পাহাড়ে ওঠার পথে তিন জায়গায় চেকপোস্ট করা হচ্ছে। সেখানে পর্যটকদের থার্মাল চেকিংয়ের পাশাপাশি টিকার ডাবল ডোজ না নেওয়া থাকলে অথবা আরটিপিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ না থাকলে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই মিলবে পাহাড়ে ওঠার ছাড়পত্র! এ ছাড়াও থার্মাল চেকিং করা হবে পাহাড়ে ওঠার তিন জায়গায়।
তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় উত্তরের ৮ জেলাতেই শিশুদের জন্যে এনআইসিইউ এবং পিআইসিইউ ওয়ার্ড ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তৈরি করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তারপরই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কলকাতা থেকে আনা হবে বিশেষজ্ঞ টিম।।ওই টিম এখানকার শিশু বিভাগের চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণ দেবে। সেই সঙ্গে শিশু বিভাগে বাড়ানো হচ্ছে চিকিৎসক এবং নার্সের সংখ্যা৷ রাজ্য পর্যটন দপ্তর এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের নয়া নির্দেশিকায় স্বস্তিতে ট্যুর অপারেটররা। পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল জানান, এতে পর্যটকদের ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধে মিলবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনেই পর্যটকেরা পাহাড় বা ডুয়ার্সে বেড়াতে যাবেন।
SOMRAJ BANDOPADHYAY