আদিবাসী ভোট পেতে মরিয়া বিজেপি শিবির। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের বেশ কয়েকটি লোকসভা আসনে ফ্যাক্টর হবে আদিবাসী ভোট। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে যে সব কেন্দ্রে জয় হাসিল করতে পেরেছিল, সেই সব সংসদীয় আসনের মধ্যে একাধিক জায়গায় আদিবাসী-জনজাতি ভোট ফ্যাক্টর৷ ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের বিধানসভা ভিত্তিক ফল বিশ্লেষণ করে যে সংখ্যক এই আসন পেয়েছিল বিজেপি, তা ২০২১ সালের ভোটে কমে যায়। অ্যাডভান্টেজ বিধানসভা আসনের প্রেক্ষিতে এগিয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও শতাংশের বিচারে দু'জনের তুল্যমূল্য লড়াই চলছে। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসও চাইছে আদিবাসী, জনজাতি বা প্রান্তিক মানুষের কাছে জনসংযোগ বাড়াতে। তাই বড় বড় সভা, মঞ্চ বেঁধে বক্তৃতা না করে, একেবারে ঘরের উঠোনে বসে তাদের সমস্যা বুঝে নিতে। যা গ্রামাঞ্চলের ভোটে পঞ্চায়েত কেন্দ্রিক অংশে অত্যন্ত কার্যকর হবে বলে মত তাঁদের।
advertisement
আরও পড়ুন : খোঁজ মিলল এসএসকেএম থেকে নিখোঁজ রোগীর, অপারেশনের আতঙ্কেই পালান, দাবি পরিবারের
ইতিমধ্যেই দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ঝাড়গ্রাম সফর করেছেন। আদিবাসী গ্রামে তাদের বাড়িতে গিয়ে সরাসরি কথা বলে পরিস্থিতি বুঝেছেন৷ জাতীয় ক্ষেত্রে মেঘালয়ের গারো পাহাড়ে সভা করে বার্তা দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার ঝাড়গ্রামে আদিবাসী এলাকায় জেনারেল সেক্রেটারি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এবার বিশেষ নজরে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ জেলাগুলি৷ তাই অভিনব "উঠোন বৈঠক" শুরু করা হল উত্তর দিনাজপুর দিয়ে। ধীরে ধীরে উত্তরের সব জেলায় ব্লক লেভেলে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন : ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, দাবি রেশন ডিলারদের
উত্তর দিনাজপুরে আছে ৯ টি ব্লক।দক্ষিণ দিনাজপুরে আছে ৬ টি ব্লক।এর মধ্যে একাধিক ব্লকে আদিবাসী ভোট ফ্যাক্টর। আবার দিনাজপুরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির আসন। তাই দিনাজপুর দিয়েই শুরু হচ্ছে এই উঠোন বৈঠক।গ্রামের বেশ কয়েকটি পাড়ার মধ্যে, বাড়ি বাছাই করা হচ্ছে। তারই উঠোনে বসে চলছে বাসিন্দাদের সাথে কথাবার্তা। জানতে চাওয়া হচ্ছে তাঁদের অসুবিধা কোথায়, প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা-এই ধরনের প্রশ্ন। এমনকি দল যে আদিবাসীদের অসম্মান করছে না, তাও এভাবেই বোঝানো হচ্ছে। আদিবাসী এলাকায় প্রচারে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন, "আমরা যে সকলের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দিতে চাই, কাউকে অসম্মান বা ভেদাভেদ যে করি না-সেটাই এইভাবে আমরা কর্মসূচির মাধ্যমে পাল্পন করছি।"