মধুপুর ধামের পর্যটক সুনীল ফুকোন জানান, “দীর্ঘ সময়ের পুরনো এই মন্দির অসমের মানুষদের কাছে এক অন্যতম পবিত্র স্থান। অসমের বহু মানুষ এখানে এসে থাকেন বছরের বিভিন্ন সময়ে। এছাড়া জেলার মানুষদের পাশাপশি বহু দূর-দূরান্তের পর্যটকরা এই মন্দিরে বেড়াতে আসেন।” মন্দিরের আর এক পর্যটক রঞ্জিতা ফুকোন জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে অসম সরকার যেভাবে এই মন্দির সংরক্ষণ করেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বিভিন্ন সময় আর্থিক অনুদান দেওয়ার মাধ্যমে এই মন্দিরের সংরক্ষণ করে চলেছে অসম সরকার। আগামী দিনেও এই মন্দিরকে এভাবেই সংরক্ষণ করা হোক, এমনটাই প্রত্যাশা তাঁর।”
advertisement
মন্দিরের বর্তমান সত্রাধিকারী পীতাম্বর রায় ভকত জানান, “মন্দিরের এক সত্রাধিকারী বুড়ির-পো গোবিন্দ আতোইয়ের তিরোধান তিথি পালিত হয় শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়াতে। এই তিথি উপলক্ষে এক বিরাট মেলার আয়োজন করা হয়। মূলত সেই উপলক্ষেই মন্দির এবং মন্দির চত্বর সংস্কার করা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে বছরের এই বিশেষ তিথিতে বহু মানুষের সমাগম ঘটে এই মন্দিরে। অসমেরও বহু মানুষ এই তিথিতে এই মন্দিরে এসে থাকেন। দীর্ঘ সময় ধরে এই মন্দির সংরক্ষণের সর্বান্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অসম সরকার। মন্দির চত্বরকে আরোও অনেকটাই সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।”
রাজ্যের এবং জেলার মানচিত্রে এই পর্যটন কেন্দ্রটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তিথিতে এই মন্দির চত্বরে বহু মানুষের ভিড় জমতে দেখা যায়। তবে দীর্ঘ সময় পরেও এই মন্দিরের সৌন্দর্য এবং জেল্লা বিন্দুমাত্র কমেনি। আগামী দিনেও এই সৌন্দর্য বজায় রাখতে সর্বান্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অসম সরকার এবং মন্দির কর্তৃপক্ষ।