মন্দিরের পূজারী দীনেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, “এই মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এখানে পূজিত হচ্ছেন সত্যভামা রাধারমণ এবং দেবী তারা কালী। এখানে নিত্যসেবা হয় মন্দিরের সমস্ত দেব-দেবতাদের। এই মন্দিরে দর্শনার্থীদের আনাগোনা লেগেই থাকে। মন্দির সকাল সাড়ে ৯ টার সময় খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য। আর মন্দির বন্ধ করা হয় সন্ধে আরতির পর ৮ টার সময়। এই মন্দিরে দিনে তিন বার পুজো করা হয়। সকালে ১০ টার মধ্যে দেবতাদের আরতি করা হয়। তারপর দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২ টার মধ্যে ভোগ নিবেদন করা হয় ভগবানকে। তারপর আবার সন্ধ্যে সাড়ে ৭টার সময় সন্ধ্যারতি করা হয়।”
advertisement
জেলার এক ইতিহাস অনুসন্ধানী সুবীর সরকার জানান, “এই মন্দিরে রয়েছে মোট তিনটি কক্ষ। রাজ আমলে রাজমাতার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরটি দীর্ঘ সময়ের পুরনো। রাজ আমলের ইতিহাসের কথা বর্ণনা করে এই প্রাচীন মন্দির। এই মন্দিরে ঠিক সামনেই রয়েছে রাজমাতা দিঘি। দিঘিটিও রাজ আমলে খনন করা হয়েছিল। এখানে দোলপূর্ণিমার দিন বড় পুজো করা হয়। এছাড়াও রটন্তীকালী পুজো এখানে প্রচলিত রয়েছে। এছাড়া দিপান্বিতা কালী পুজোর সময় বিশেষ পুজো করা হয়। তবে এই মন্দির কোচবিহারের পর্যটন মানচিত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
আরও পড়ুন : কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন খিদে পায়? দিনভর খাই খাই অভ্যাস বন্ধ করতে কী খাবেন? জানুন
জেলা কোচবিহারের এই প্রাচীন মন্দির আধ্যাত্মিকতা ও পর্যটনের এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। দীর্ঘ সময় ধরে জেলার বহু পর্যটক এই মন্দিরে ঘুরতে আসেন। এই মন্দিরের স্থাপত্য শৈলী বহু পর্যটকের মন আকর্ষণ করে। তাই তো রাজ আমল থেকে আজও এই মন্দির সমান গুরুত্বপূর্ণ জেলার বুকে।