কোচবিহারের এক ইতিহাস অনুসন্ধানী সুবীর সরকার জানান, “জেলা কোচবিহারে এই প্রাচীন মন্দির আধ্যাত্মিকতা ও পর্যটনের এক অদ্ভুতু মেলবন্ধন। তবে এই মন্দির স্থাপন করা হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। সেই সময় থেকেই মন্দির পরিচালনা করা হত এক স্বতন্ত্র ট্রাস্ট বোর্ড দ্বারা। যদিও বর্তমান সময়ে এই মন্দির জেলার বুকে বেশ অনেকটাই প্রসিদ্ধ এক মন্দির। মন্দিরের সূচনা সময় থেকেই মন্দিরের পুজোর সময়ে বিরাট মেলার আয়োজন করা হত। সেই সময়ে সেই মেলা চলত প্রায় ২০ থেকে ২২ দিন ধরে। বর্তমান সময়ে এই মেলা চলে কোন দিন ধরে।”
advertisement
আরও পড়ুন : রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরেই সূচনা, শতাব্দীপ্রাচীন রাজরাজেশ্বরী মায়ের পুজোয় অগণিত ভক্ত
তিনি আরও জানান, “বর্তমান সময়ে জেলার বেশিরভাগ রাজ আমলের মন্দিরগুলি দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড গুলি পরিচালনা করে। তবে একমাত্র জেলার এই মন্দিরটি স্বতন্ত্র একটি ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়। তবে মন্দিরের আর্থিক অনুদান পর্যাপ্ত না থাকার কারণে মন্দিরটি সংস্কার এবং পরিচালনা করতে সমস্যায় পড়তে হয়। মন্দিরের পুজোর সময় মন্দিরে পার্শ্ববর্তী জেলা, নিম্ন অসম এবং বাংলাদেশের রংপুর থেকে বহু মানুষ আসতেন। তবে বর্তমান সময়ে সেই সংখ্যা কমেছে অনেকটাই।”