উপনির্বাচনের ঠিক আগেই বিজেপি ছেড়ে দলে-দলে নেতা-সমর্থকরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় গেরুয়া শিবির। মুখে কিছু না বললেও এই দলবদল উপনির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা। দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের নয়ারহাট গোবরাছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাকলাটারি গ্রামে শনিবার এই যোগদান পর্ব সম্পন্ন হয়। দলবদলুদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান তথা দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী উদয়ন গুহ।
advertisement
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, কোচবিহারের বিজেপি সম্পাদক সুদেব কর্মকারের পাশাপাশি দিনহাটা কেন্দ্রের বিজেপির সংযোজক কল্যাণ সরকারও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। কিন্তু কেন এই যোগদান? দলবদলু নেতাদের অভিযোগ, এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পছন্দ না হওয়াতেই দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। বিজেপি ছেড়ে দলের জেলা সম্পাদক সুদেব কর্মকার অভিযোগ করেছেন, ''দলের সাংসদ এবং জেলা সভাপতি মিলে বিজেপিকে কোমায় পাঠিয়ে দিয়েছে। দিনহাটায় অগণতান্ত্রিকভাবে প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। সাংসদ দলের কর্মীদের ফোন ধরেন না, কথাও বলেন না।''
আরও পড়ুন: গেটে এসে নাম ধরে ডাক, BJP নেতা ঘর থেকে বেরোতেই যা ঘটল ইটাহারে! তাজ্জব সকলে...
এই দলবদলের ফলে স্বাভাবিক কারণেই উজ্জীবিত তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ বলেন, 'এই দলবদল এক ধরনের বদলা, ওরা আমাদের পার্টি অফিস ভেঙেছিল। আর আমরা বিজেপিকে দিনহাটায় শেষ করে দিলাম।' যদিও কোচবিহার বিজেপির সভানেত্রী তথা বিধায়ক মালতী রাভা রায়ের দাবি, এই যোগদানের ফলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটায় জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি পেয়েছিলেন ১১৬০৩৫ ভোট। হেরে যান তৃণমূলের উদয়ন গুহ। তিনি পান ১১৫৯৭৮ ভোট। সামান্য ভোটের ব্যবধানে হারতে হয় উদয়ন বাবুকে। এবার সেই ব্যবধান সহজেই মুছে যাবে বলে আশাবাদী শাসক দল তৃণমূল।