মালদহের কোতোয়ালি ভবন। গণি পরিবারের ঠিকানা। এই কোতোয়ালি থেকেই গনিখান চৌধুরীর রাজনীতিতে উত্থান। মালদহ থেকে একেবারে দিল্লি। সামলেছেন রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব। গনিখান চৌধুরী সঙ্গে দেখা করতে একসময়ে এই কোতোয়ালি ভবনেই এসেছেন ইন্দিরা গান্ধি থেকে মনমোহন সিং প্রত্যেকেই। তখন ভবনের অন্দরে প্রবেশ করতে ছিল একটাই দরজা। সিংহদুয়ার।
advertisement
গৌড়ে কংগ্রেসের গড়ে বুলন্দ দরওয়াজা। কিন্তু, সেই দরজা আর কংগ্রেসের জন্য বুলন্দ থাকল কোথায়! রাজনীতিতে বদলের মৌসম। তা নতুন দরজাও তৈরি করে ফেলল। কোতোয়ালি ভবনের অন্দরে যেতে এখন তিনটি দরজা।
মূল দরজা দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী এবং সুজাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খান চৌধুরীর জন্য। এই গেট দিয়ে এখনও কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরাই কোতোয়ালি ভবনের অন্দরে ঢোকেন।
২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন গনি পরিবারের সদস্য আবু নাসের খান চৌধুরী। তখন তৃণমূলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে পাশের ছোট গেটটিকে তিনি বড় করেন। আর এবার গনিখানের ভাগ্নি মৌসম বেনজির নূর কংগ্রেসে ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁর জন্য আরেকটি দরজা। এই গেট দিয়েও গনির কোতোয়ালি ভবনে এবার ঢুকবেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা।
মৌসমের জন্য এই তৃতীয় দরজাটি, হালে তৈরি করা হয়েছে। এখনও রঙ হয়নি। কিন্তু, রাজনীতির রং তো বদলে গিয়েছে। তাই নতুন দরজাও তৈরি। বাইরে থেকে দেখা না গেলেও, অন্দরের খবর, এই তিনটি গেট বরবার, কোতোয়ালি ভবনের অন্দরে পাঁচিলও উঠেছে। অনেকেই বলছেন, মৌসম বেনজির নূরের তৃণমূলে যোগ দেওয়া, লোকসভা ভোটের মুখে প্রদেশ কংগ্রেসের কাছে একটা বড় ধাক্কা। পাশাপাশি অবশ্য এই জল্পনাও তৈরি হয়েছে, তৃণমূলের সঙ্গে জোটের পক্ষে ছিলেন যিনি, সেই মৌসমের তৃণমূলে যোগ দেওয়া কি আসন্ন লোকসভা ভোটে, এ রাজ্যে, কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে বোঝাপড়ার ইঙ্গিত ?