সাগরদিঘির ফলাফলে মালদহেও উজ্জীবিত কংগ্রেস শিবির। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে ঘুরিয়ে মহাজোটের ডাক ডালুবাবুর। তৃণমূলকে হারাতে 'মানুষের মহাজোটের' পক্ষে সওয়াল আবু হাসেমের। প্রবীণ কংগ্রেস নেতার দাবি, কংগ্রেস এবং সিপিএম এক আছেই, অন্য দিকে তৃণমূলের উপর মানুষ ক্ষুব্ধ। তাঁর কথায়, 'অন্যরা ভোট দিতে চাইলে আমরা ফেরাবো কেমন করে। গত বিধানসভা ভোটে সংখ্যালঘু ভোটারদের ভুল বুঝিয়ে কৌশলে ভোট নিয়েছিল তৃণমূল। এখন এর উল্টো ফল হচ্ছে।'
advertisement
আরও পড়ুন: নোটার থেকেও কম, ত্রিপুরায় ১ শতাংশ ভোটও পেল না তৃণমূল
সাগরদিঘির ফল কংগ্রেসকে 'অক্সিজেন' জোগাবে বলেও মত প্রবীণ কংগ্রেস সাংসদের। অনেকে সাগরদিঘিতে বাম, রাম জোট এসব কথা বলছেন। কিন্তু, আসলে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে ভোট দিয়েছেন- তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য মালদহ জেলা কংগ্রেস সভাপতির।
উল্লেখ্য, রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেসের দুর্গ বলে দীর্ঘদিন পরিচিত ছিল মুর্শিদাবাদ ও মালদহ। কিন্তু, গত বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই জেলাতেই কংগ্রেসের গড় কার্যত ধুলিসাৎ হয়ে যায়। দুই জেলাতেই বিপুল জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষ করে সংখ্যালঘু প্রভাবিত এলাকাগুলিতে কংগ্রেসের চিরাচরিত ভোটে ধস নামায় ঘাসফুল। গত বিধানসভায় এই দুই জেলাতেই খাতা খুলতে পারেনি কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের বিজয়রথ থামালেন, সাগরদিঘিতে বাইরনের উপরে কেন বাজি ধরেছিলেন অধীর?
মালদহে ১২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০১৬ সালে এককভাবে কংগ্রেসের দখলে ছিল আটটি আসন। আর বাম- কংগ্রেস জোটের দখলে ছিল ১১টি বিধানসভা। এই অবস্থা থেকে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত হতাশাজনক ফল হয় কংগ্রেসের। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট এবং আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয়কে 'অক্সিজেন' বলে মনে করছে হাত শিবির। বিশেষ করে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের মতামত সাগরদিঘির ভোটের ফলে স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আর এতেই উজ্জীবিত হয়ে পূর্ণদমে মালদহেও নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে চাইছে কংগ্রেস। মালদহ জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী তাই দাবি করেছেন, সাগরদিঘির ফল মুর্শিদাবাদ এবং আশেপাশের জেলাগুলিতে বিরাট প্রভাব ফেলবে।
