শহরের অভিজাত এলাকায় আবাসনে হানা ঘিরে চাঞ্চল্য। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আবাসনে চলেছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, মালদহের রতুয়ার কাহালার বাসিন্দা শ্যামল সিং বেশ কিছুদিন ধরেই সিবিআই এর রাডারে ছিলেন। সিআইএসএফ এ কর্মরত থাকাকালীন একাধিক পদস্থ আমলার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ জোগ ছিল। কয়লার কারবারে শ্যামল সিংয়ের সক্রিয় থাকার প্রাথমিক খবরের ভিত্তিতে এই দিনের অভিযান বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
গতকাল বিকেলেই মালদহে অভিযানের উদ্দেশ্যে কোচবিহার থেকে রওনা দেন সিবিআই- এর দল। রাতে শিলিগুড়ি হয়ে এদিন সকালে ন’টার আগেই সাত সদস্যের দল পৌঁছে যায় রতুয়া থানার কাহালায় শ্যামল সিংহের আদি বাড়িতে। যেখানে আগামীকাল পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছিল। শ্যামল সিংয়ের বিশাল বাড়ির সামনে পাহারায় মোতায়েন করা হয় সশস্ত্র বিএসএফ জওয়ান।
বাড়ির কাউকেই আর ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হয়নি। তদন্তের সময় নিয়ে নেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোন। সে সময় বাড়িতেই ছিলেন শ্যামল সিং। এরপর কাহালার বাড়িতে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি। তল্লাশিতে বেশকিছু নথি পান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর একটি লাল কাপড়ে মোড়া ফাইলে বেশকিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। এরপর শ্যামল সিংহকে সঙ্গে নিয়েই দুপুর আড়াইটে নাগাদ কেন্দ্রীয় এজেন্সি পৌঁছয় মালদহ শহরের অভিজাত এলাকা বলে পরিচিত এক নম্বর গভর্মেন্ট কলোনির এপার্টমেন্টে।
আরও পড়ুন, পার্লামেন্ট ‘স্মোক অ্যাটাকে’র সঙ্গে এবার কলকাতা যোগ! এ শহরেই থাকতেন মূলচক্রী ললিত, কী করতেন জানেন?
আরও পড়ুন, ডেরেক ও’ব্রায়েনকে বের করে দিলেন জগদীপ ধনখড়! রাজ্যসভা থেকে বরখাস্ত তৃণমূল সাংসদ, হঠাৎ কেন সাসপেন্ড?
যেখানে শ্যামল সিং এর তিনটি ফ্ল্যাট-এর হদিশ মেলে। এখানেও দীর্ঘ প্রায় তিন ঘন্টা ধরে চলে তদন্ত ও তল্লাশি। সন্ধ্যার পর এখান থেকে বেরোনোর সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের হাতে দেখা যায় লাল কাপড়ে মোড়া নথিপত্র। যদিও এদিনের তদন্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি আধিকারিকরা কোনও কথা বলতে চাননি। তল্লাশির পরেও ফ্লাটের ঘর বন্ধ করে রাখা হয় ভেতর থেকে। ফলে সিবিআই তল্লাশি নিয়ে শ্যামল সিং বা তাঁর পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শ্যামল সিং কয়লা পাচার চক্রের অন্যতম বড় চাঁই। গত কয়েক বছরে তাঁর সম্পত্তি বিপুল পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। মালদহ শহর ছাড়াও আসানসোল এবং কলকাতাতেও তাঁর প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। সেখানেও এদিন হানা দেয় সিবিআই।