মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেকদিন ধরে রিভার কমিশনের দাবি জানিয়ে আসছি। কেন্দ্র গুরুত্ব দেয়নি। ১৬ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে বৈঠক আছে। আমি আমাদের প্রতিনিধি পাঠাব।’’ সেখানে আবারও ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশনের দাবি তোলা হবে বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
দাবি সত্ত্বেও হয়নি ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন। এর জেরেই কেন্দ্রকে তোপ দাগল তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গত ১১ অগাস্ট আমি রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে জলশক্তি মন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন নিয়ে কী ভাবনা রয়েছে? তাতে মন্ত্রী সিআর পাটিল লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে এনিয়ে কোনও ভাবনা নেই। ভুটান ও বাংলার নদীগুলি যেমন রায়ডাক, সংকোশের জলে প্লাবিত হয়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গা। ভুটান, সিকিমের বৃষ্টিতে বাংলার মানুষ ডুবছে। সেই কারণে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন বাস্তবায়িত করা জরুরি। তাহলে নদীর জল নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।’’
রাজ্য সরকারের তরফে বলা সত্ত্বেও ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন তৈরি হয়নি। রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে জলশক্তি মন্ত্রকের মন্ত্রী স্পষ্টই জানিয়েছেন, এটি বাস্তবায়নের কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের। দুর্যোগ পরিস্থিতি দেখে তিনি প্রশ্ন তুললেন, ‘‘ইন্দো-বাংলাদেশ রিভার কমিশন থাকলে কেন ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন কেন থাকবে না? এটা তো প্রয়োজনীয়।’’ আপাতত ১৬ তারিখের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে সকলে।