ভেঙে পড়া ব্রিজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সেতু ১৫ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করে দেব। আগে এক মাস লাগবে বলেছিল। আপাতত হিউম পাইপ দিয়ে করে দেব। অস্থায়ী রাস্তা। তবে বড় গাড়ি নয়, ছোট গাড়ি যাতায়াত করবে আর মানুষ হেঁটে যাব। রোহিনীর রাস্তা তাড়াতাড়ি ঠিক করতে হবে। ওখানে ল্যান্ড স্লাইড হয়েছিল। রোহিনীর রাস্তা আমাদের মডেল রোড। আমার নজরে এসেছে ওখানে রাস্তার পাথর বেরিয়েছে।’’
advertisement
বন্যা এবং ধসের জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন প্রচুর মানুষ। অস্থায়ী ঠিকানায় খাওয়া দাওয়া-সহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এদিন মমতা জানালেন, ‘‘ঘরবাড়ি বানানো হবে। এখন কমিউনিটি কিচেন চলবে। একাধিক কাগজ নষ্ট হয়ে গেছে। পোশাক, রান্নার সামগ্রী সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখানে রেশন দিতে হবে। নিজের পায়ে না দাঁড়ানো পর্যন্ত চলবে। বই, কাগজ, আধার ফেরতে স্পেশাল ক্যাম্প করা হবে। দুই পাড়েই করা হবে ক্যাম্প। রাস্তার কাজ দ্রুত করতে হবে। জল কমে যাওয়ার পরে সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। যেখানেই কৃষকদের জমি নষ্ট হোক না কেন আমরা ক্রপ ইন্সসিওরেন্স করে দেব। কেউ ভাববেন না আমি ও সরকার পাশে আছি। গৌতম দেব, এল বি রাই ও অনীত থাপাকে বিশেষ দায়িত্ব আমি দিয়ে যাচ্ছি। আমি আবার আসব শীঘ্রই। আজ বিকেলে ঘোষণা করব।’’
‘‘ভুটানের ৫৬ নদী আছে। আজকেও হাই টাইড আছে। ভুটানের চার ড্যাম বন্ধ করেছে শুনলাম। সিকিমেও প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ওদের জল আসছে। গতকাল আমি তিস্তা দেখেছি। সিকিম আর ভুটানের জলে ক্ষতি হচ্ছে উত্তরবঙ্গ। প্রকৃতির সঙ্গে এত লড়াই করলে এমন হয়। আমরা দুটো হাইডেল পাওয়ার করার চেষ্টা করেও করিনি। সিকিমে ১৪ হাইডেল পাওয়ার ওই ছোট রাজ্যে। মিরিক হল বেবি পাহাড়। সেখানে এত নির্মাণ কেন? চার দিন আমাদের সামলে থাকতে হবে। আজ থেকে আগামী তিন দিন আমাদের নজর রাখতে হবে। আমি এর থেকে আর বেশি কি বলতে পারি। আপনাদের যা হারিয়েছে তা আপনারাই বুঝেছেন। তবে যে চলে গেছে সে তো আর ফিরবে না। আপনাদের আমি দেখে রাখব’’, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
কমিউনিটি কিচেন ও জিআর চালিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তিনি আরও জানালেন, ‘‘নতুন পাকা সেতু, ৫৪ কোটি টাকা দিয়ে হচ্ছে। এক বছরের মধ্যে হবে। ৪১ পাইপ দিয়ে অস্থায়ী সেতু/ রাস্তা হবে। যারা কাজ করছে তাদের যেন লাইফ জ্যাকেট দিতে হবে। কাজ করার সময় দেখবেন যেন বিপদ না হয়। সঙ্গে বোট ও ডুবুরি রাখতে হবে। বলেছিলাম হাই টাইড আসবে। দেখুন কীভাবে জলের স্রোত। আমি এই জন্যেই সবাইকে সাবধান করছি। এই স্রোতে কাজ দু’দিন পিছিয়ে দাও। আমাদের জীবন আগে দামি। এই স্রোত রাতে আরও বিপদজনক হবে।’’