গত ১৩ জুলাই বাড়ি থেকে দু কিলোমিটার দূরে বালিয়ামোড় এলাকায় একটি বন্ধ থাকা মোবাইলের দোকানের বারান্দায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। পুলিশ একে আত্মহত্যার ঘটনা বলে জানালেও, মৃত বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমা রায় রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। প্রয়াত বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃতদেহে থাকা জামার পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তাতে নিলয় সিংহ ও মাবুদ আলি নামে দুজনকে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করে যান প্রয়াত বিধায়ক।
advertisement
বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের ভার সিআইডি-র হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকার। সুইসাইড নোটে উল্লিখিত নিলয় সিংহ ও মাবুদ আলিকে গ্রেফতার করে সিআইডি। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের কাজ। ঘটনার দুমাসের মাথায় আজ অর্থাত্ শনিবার বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনার চার্জশিট দাখিল করল সিআইডি। তবে সিআইডি খুনের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে নি।
সিআইডি-র দেওয়া চার্জশিট নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রয়াত বিধায়কের স্ত্রী৷ তিনি বলেন, 'আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে৷ আমি খুনের মামলা দায়ের করেছিলাম। কিন্তু সিআইডি যে চার্জশিট দখল করেছে সেটা ঠিক নয়। তদন্ত সঠিক হচ্ছে না' বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ির বলেন, 'পরিবারের পক্ষ থেকে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছিল। কীভাবে সিআইডি এটিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা করে চার্জশিট দিল?'
তাঁর অভিযোগ, যেহেতু একজন বিজেপি বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে তাই তড়িঘড়ি করে একটি চার্জশিট দাখিল করেছে সিআইডি। 'আমাদের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি দেখভাল করছেন। তবে সিআইডি-র এই চার্জশিটে খুশি নয় কেউ। ছয় মাস পর সরকার পরিবর্তন হলে বিজেপি সরকার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেবে।'
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বক্তব্য,ঘটনার পর দলের পক্ষ বলা হয়েছে, সমবায়ের লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণের জন্যই মানসিক অবসাদে তিনি আত্মহত্যা করেছেন৷ বিজেপি অহেতুক এই ঘটনাকে রাজনীতির রং লাগিয়েছে।
UTTAM PAUL