মহানন্দা নদীর লালমোহন মৌলিক ঘাটে সমাগম সবচেয়ে বেশি হয় ছট ব্রতীদের। মানুষের ভিড়ে কার্যত উধাও কোভিড বিধি। কোথায় মাস্ক? কার্যত উধাও। ঘাটে ঢোকার আগে মাস্ক বিলিও করা হয়। কালো মাথার ভিড়ে গিজ গিজ করছে মহানন্দা নদীর ঘাট। একই ছবি শহরের বালাসন, পঞ্চনই, করতোয়া-সহ অন্যান্য নদীতেও। এবারই প্রথম লালমোহন মৌলিক ঘাটে স্থায়ী বেদী তৈরি করেছে পুরসভা। গতকাল যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুর প্রশাসক গৌতম দেব।
advertisement
আরও পড়ুন-অগ্রগণ্য কলকাতা, ২০৩০-এর মধ্যে ই-ভেহিকেলে শহর ভরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মন্ত্রীর
মহানন্দা নদীর দূষণের কথা মাথায় রেখে গ্রিন ট্রাইব্যুনাল আদালত নির্দেশ দেয়, নদী বক্ষে কোনও বেদী করা যাবে না। সেই নির্দেশ পালন করে পুরসভাও। আদালতের নির্দেশের জেরে আবার অনেকেই অস্থায়ী ঘাট বানিয়ে বাড়ির ছাদেই সারলেন সূর্য দেবতার পুজো। প্রশাসনের নির্দেশ মেনে এবারেও ভিড় এড়াতে বাড়ির ছাদে পুজোর আয়োজন করতে দেখা যায়।
পুরসভার ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বহু বাড়ির ছাদেই আয়োজন করা হয় ছট পুজার। শহরের আরো কয়েকটি ওয়ার্ডেও পুজার জন্যে বেছে নেওয়া হয় বাড়ির ছাদ। কৃত্রিম ঘাট বানিয়েই চলে পুজো। আবার কোথাও নিজস্ব এলাকায় কয়েকটি পরিবার মিলিয়ে রাস্তাতেই আয়োজন করে পুজোর। শহরের একাধিক জায়গায় রেলের অব্যবহৃত জমিতে কৃত্রিম ঘাট বানিয়ে ছট পুজোর আয়োজন করা হয়। যা যথেষ্টই আশাব্যঞ্জক।
আরও পড়ুন-রবীন্দ্রসরোবরে ছটপুজো উপলক্ষে প্রতি গেটে শিকল ও তালা! বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে কড়া নিরাপত্তা
এবারে শিলিগুড়ি মহকুমা এবং লাগোয়া এলাকা মিলিয়ে ১৪৫টি ঘাটে ছট পুজোর আয়োজন করা হয়। সেইমতো সাজিয়ে তোলা হয় প্রতিটি ঘাট। প্রতি বছরই শহরবাসীর উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যেত মহানন্দা নদীর লালমোহন মৌলিক ঘাটে। এবারেও সেই একই ছবি। গতবারের তুলনায় কম ভিড় হলেও এবারে পুরনো দিনেই ফিরেছে মহানন্দা! পূণ্যার্থীদের দাবি, এবার হল পুজো। উৎসব হবে আগামী বার। কারণ করোনাকালে ঝুঁকি নিতে নারাজ ছট ব্রতীদের অনেকেই।
Partha Pratim Sarkar