কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে বাধা দেয় তৃণমূল। দলীয় পতাকার পরিবর্তে হাতে কালো পতাকা নিয়ে বিজেপি সাংসদের গাড়ি আটকানো হয়।
আরও পড়ুন- Murshidabad News: হাতের চাপে উঠে আসছে পিচের তৈরি রাস্তা, মুর্শিদাবাদে কেলেঙ্কারি কাণ্ড
সংসদ খগেন মুর্মু গো ব্যাক- স্লোগান তোলেন বিক্ষোভকারীরা। বিজেপি সংসদের গাড়ির দিকে কার্যত ধেয়ে যায় তৃণমূল কর্মীরা। সেই সময় নিরাপত্তা রক্ষীসহ গাড়িতেই বসে থাকেন বিজেপি সাংসদ।
advertisement
গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভের পর গাড়ির সামনে রাস্তাতেই বসে পড়েন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এদিকে সেই সময় হরিশ্চন্দ্রপুর- ১ ব্লক অফিস গেটে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপির কয়েকশো কর্মী সমর্থক। গোলমাল ঠেকাতে ব্লক অফিসের সদর গেট বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
এরই মধ্যে কর্মসূচিতে আসার পথে রাস্তায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুু এবং মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্তকে আটকানোর খবরে উত্তেজনা ছড়ায়।
কিছু বিজেপি সমর্থক সংসদের গাড়ির দিকে এগিয়ে আসতে গেলে পুলিশ, তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যেও একদফা ধস্তাধস্তি হয়। পরে বাড়তি পুলিশ বাহিনী পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে সংসদকে ঘেরাও মুক্ত করে।
এর পর ব্লক অফিসে দলীয়়় কর্মসূচিতে যোগ দেন খগেন মুর্মু।
বিক্ষোভকারী তৃণমূল নেতা সঞ্জীব গুপ্ত, দ্রোণাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলেন, ২০১৯ সালে ভোটে জেতার পর গত কয়েক বছরে বিজেপি সংসদকে এলাকায় দেখা যায়নি। এলাকার উন্নয়নে তিনি কোনও রকম ভূমিকা নেননি।
আরও পড়ুন- SFI: শিক্ষায় দুর্নীতি, আসরে এসএফআই! নবাবের শহরে বড় আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি
আবাস যোজনা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এলাকায় সম্প্রীতি ও শান্তি নষ্ট করতে চাইছেন সাংসদ। এই কারণেই তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে। গো ব্যাক স্লোগান তোলা হয়েছে। সাংসদকে ক্ষোভ দেখানো হলেও বিজেপির কর্মসূচিতে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি।
এদিনের ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ বিজেপি সংসদ খগেন মুর্মু বলেন, আবাস যোজনায় দুর্নীতিতে তৃণমূলের মুখোশ খুলে গিয়েছে। ভয়় পেয়ে তাঁরা আমাকে আটকানোর চেষ্টা করেছেন। এতে মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতি সম্পর্কে আরও সজাগ ও সচেতন হবেন। এদিনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপি সাংসদ।