মাল নদীতে হড়পা বানের প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিলেন স্থানীয়রাও। তার ফলে ক্ষতি অনেক কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। তিনি জানিয়েছেন,” মাল নদীতে কৃত্রিমভাবে কোনও বাঁধ দেওয়া হয়নি। ভাসানের জন্য ‘চ্যানেল প্যাকিং’ করেছিল মাল পুরসভা।সিভিল ডিফেন্স, পুরকর্মী ও দমকল কর্মীরা হাজির ছিলেন ওই ঘাটে। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কোনও আগাম খবর ছিল না।” ঠিক এই কারণেই আগামী দিনে বিপর্যয় মোকাবিলায় পাহাড়ে বৃষ্টিপাতের তথ্য দ্রুত হাতে পেতে চাইছে জেলা প্রশাসন।
advertisement
আরও পড়ুন : 'দুর্ঘটনাই' নয়...! মালনদীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে 'বিস্ফোরক' অভিযোগ বিজেপি প্রতিনিধি দলের
আরও পড়ুন : পুজোয় বাড়ি আসা, ভাসান দেখে আর ঘরে ফেরা হল না মালবাজারের স্বর্ণদীপের
কালীপুজোর পর ছটপুজো আসছে। ডুয়ার্সের একাধিক নদী হড়পা বান কবলিত। আর ওই নদীগুলোতে নেমেই পুজো সারেন ছটব্রতীরা। ছটঘাটগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করতে চলেছে প্রশাসন। মালবাজারের মর্মান্তিক ঘটনার পরে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। কালীপুজোর আগেই এই সিস্টেম চালু করতে চান জেলাশাসক। তিনি আরও বলেন, “মাল নদীতে প্রথমে জল খুব কম ছিল।হঠাৎ জল বেড়ে যায়। হড়পার ফলে ওখানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সঠিক সময়ে ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি তথ্য পেলে এই উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যেত। ভুটানে ওই সিস্টেম বসাতে বিলম্ব হলে ভারতীয় ভূখণ্ডে রেইন গেজ সিস্টেম বসানোর ব্যবস্থা করা হবে।” এর পাশাপাশি মালবাজারের হড়পা বিপর্যয় নিয়ে তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন জেলাশাসক।
