মন্ত্রী অবশ্য বলেন, ভাঙন রোধের কাজের বিষয়ে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে কোনও প্রস্তাব পাঠালে অবশ্যই তা ভেবে দেখা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার সবসময় সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ার সঙ্গে কেন্দ্রের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও মন্তব্য করেন গ্রাম উন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী।সকালের দিকে উত্তর চন্ডীপুরে বিক্ষোভের পর মন্ত্রী পৌঁছন দক্ষিণ চন্ডীপুরে। এরপর দুপুর নাগাদ তিনি যান হীরানন্দপুরে।
advertisement
আরও পড়ুন: মকরে আবহাওয়ার তুমুল বদল? কেমন থাকবে কলকাতা সহ বাকি রাজ্য, বড় আপডেট হাওয়া অফিসের
হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে মন্ত্রীর বৈঠক চলাকালীন বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশকিছু মানুষ। বৈঠক থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রীয় সাহায্যের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। অনেকের কাছে আবাস যোজনার আবেদনপত্র গ্রহণ করেন মন্ত্রী। এদিন মানিকচকের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া অভিযোগপত্রগুলি ব্লক প্রশাসনের নজরে দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে ১১ কোটি টাকা উদ্ধার, আয়কর দফতরের বিরাট হানা! তোলপাড় বাংলা
এদিকে মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল- বিজেপি চাপানউতোর। মন্ত্রীকে বিক্ষোভের পেছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও পাল্টা তৃণমূলের মানিকচক কেন্দ্রের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, এদিনের বিক্ষোভ স্বতঃস্ফূর্ত। মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ভাঙন সমস্যা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। এরপরেও কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মেলেনি। কেন্দ্রের কাছে গঙ্গা আরতির টাকা রয়েছে, অথচ গঙ্গাভাঙন রোধের টাকা নেই। উল্লেখ্য, তিন দিনের মালদহ জেলা সফরের তৃতীয় দিনে মালদহের কালিয়াচক এবং বৈষ্ণবনগর এলাকায় যাবেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী।