TRENDING:

হাতির গতিবিধি পর্যবেক্ষণে প্রযুক্তি ব্যবহার! ডিভিশন জুড়ে নজরদারিতে সিসিটিভি ক্যামেরা

Last Updated:

বাগডোগরায় হাতি-মানুষ সংঘাত কমাতে বনদফতর সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছে. ২৪ ঘণ্টা নজরদারি ও হেল্পলাইন চালু হয়েছে. ১১টি কুইক রেন্সপন্স টিম ও ২টি এলিফ্যান্ট স্কোয়াড কাজ করছে.

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বিশ্বজিৎ মিশ্র, বাগডোগরা: হাতি ও মানুষের সংঘাত নতুন নয়! দিনের পর দিন হাতির হানায় মৃত্যু যেমন বাড়ছে তেমনি সম্পত্তি নষ্ট ও ক্ষয়ক্ষতিও বাড়ছে। এই সংঘাত পরিস্থিতি কমাতে এবার প্রযুক্তির সহযোগিতা বনদফতরের। হাতির করিডোর ও জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় বসানো হল সিসিটিভি ক্যামেরা। ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রাখতে চালু হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
AI Image
AI Image
advertisement

কার্শিয়াঙ ফরেস্ট ডিভিশনের হাতি উপদ্রব মূলত বাগডোগরা, পানিঘাটা, টুকরিয়াঝাড় ও বামনপোখরী রেঞ্জে পরিলক্ষিত হয়। ধান ও ভুট্টার মরশুম আসতেই এই ৪টি রেঞ্জে হাতির গতিবিধি বাড়ে। হাতির গতিবিধি পর্যবেক্ষণে এবার বসানো হল সিসিটিভি ক্যামেরা। আপাতত ৫০-৬০টি সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে চলছে নজরদারি।

বাগডোগরা রেঞ্জে সিসিটিভি ৩২টি

পানিঘাটা রেঞ্জে ১৪টি

টুকরিয়াঝাড় রেঞ্জে ৭টি

advertisement

বামনপোখরী রেঞ্জে ৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

সিসিটিভি ক্যামেরার সব ছবি চটজলদি সময়ে আসছে বাগডোগরা রেঞ্জের কন্ট্রোল রুমে। এখান থেকেই চলছে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি। সঙ্গে খোলা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। ০৩৫৩-২৫৫০৪৫৩ এই নম্বরে ফোন করলেই পাঠানো হচ্ছে বনদফতরের টিমকে। সিসিটিভি ছাড়াও হাতি নিয়ন্ত্রণে ১১টি কুইক রেন্সপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেক রেঞ্জে একজন করে হাতি ট্রেকার কর্মী কাজ করছেন। সঙ্গে রয়েছে ২টি এলিফ্যান্ট স্কোয়াড টিম। কার্শিয়াঙ বনদফতরের এডিএফ‌ও রাহুল দেব মুখোপাধ্যায় জানান, আগে রিমোট ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে হাতি নিয়ন্ত্রণ হত। এখন সিসিটিভি এই কাজকে আরও সহজ করছে। রিমোট ট্রান্সমিশনের খবর কুইক রেন্সপন্স টিম পেলে দ্রুততার সঙ্গে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতিকে জঙ্গলে পাঠাচ্ছে। এসব ছাড়াও হেল্পলাইন নম্বর যা হাতির গতিবিধি পর্যবেক্ষণে কাজ করছে। মানুষ সচেতন হলে মানুষ ও হাতির সংঘাত তৈরি হবে না বলে তিনি জানান।

advertisement

অন্যদিকে কার্শিয়াং ডিভিশনের ডিএফ‌ও দেবেশ পান্ডে জানান, জনবসতি এলাকায় হাতি ঢুকলেই বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আগামী দিনে আরো সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। সম্প্রতি এই কন্ট্রোল রুম ঘুরে গিয়েছেন পিসিসিএফ হব। উত্তরবঙ্গে হাতি ও মানুষের সংঘর্ষ নতুন নয়। তবে এর থেকে কীভাবে জীবনহানি কম করা যায় তা করতেই এই উদ্যোগ। বনদফতরের এই উদ্যোগে খুশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনরা। এই উদ্যোগ আগামী দিনে সংঘাত রুখবে। তবে সাধারণ মানুষদের আরও সচেতন হতে হবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে ১৩জন হাতিতে মৃত্যু হয়, ২০২৪ সালে ৯জন এবং  ২০২৫ সালে ১জনের মৃত্যু হয়েছে এই কার্শিয়াঙ বনদফতরে। বর্তমানে ১০০ বেশি হাতি রয়েছে এই এলাকায়।

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
হাতির গতিবিধি পর্যবেক্ষণে প্রযুক্তি ব্যবহার! ডিভিশন জুড়ে নজরদারিতে সিসিটিভি ক্যামেরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল